সোনারগাঁয়ে এখন সিংহের গর্জন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

দেখা যাচ্ছে সোনারগাঁয়ে এখন সিংহের গর্জন। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী শোডাউন দিনকে দিন বড় হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নে বিশাল শোডাউন দিলেন কায়সার হাসনাত। প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনদের সমাগম বাড়ছে। নির্বাচনী শোডাউন ও গণসংযোগ এবং জনপ্রিয়তায় কায়সার হাসনাতের অবস্থান দেখা যাচ্ছে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশি।

গণসংযোগে কায়সার হাসনাত বলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে ছিলাম আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থেকে জয় নিয়ে বাড়িতে ফিরবো। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সিংহ মার্কা ভোট দিলে সোনারগাঁও তৃনমুল আওয়ামীলীগ বাঁচাতে হবে। সেই সঙ্গে অবহেলিত সোনারগাঁয়ে উন্নয়নের জন্য সিংহ মার্কাকে ভোট দিতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, অবহেলিত সোনারগাঁয়ের পর্যটক নগরীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সিংহকে ভোট দিতে হবে।

বুধবার দিনব্যাপী সোনারগাঁয়ের সাদিপুরে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত গণসংযোগ করেছেন। উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর, ভারগাঁও, নয়াপুর, কোনাবাড়ি, কাজিগাঁও, রতন মার্কেট, নানখী, পঞ্চমীঘাট ও কাজরদীসহ ১০টি স্পটে গণসংযোগ করেন কায়সার হাসনাত। এসময় স্থানীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ বিকেল গড়িয়ে আসলে বিশাল শোডাউনে পরিনত হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।