ডজন মামলার আসামি আমি: শব্দর আলী, ১২৭ দিন জেল খেটেছি: জাকির

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে নেতৃত্বে আসতে মাঠে নেমেছেন ডজন খানিক নেতা। তবে এরি মধ্যে যুবদলের পদ প্রত্যাশি এসব নেতাদের মাঝে শুরু হয়েছে প্রতিদ্বন্ধিতা। যুবদলের সভাপতি প্রার্থী শব্দর আলী ও সেক্রেটারি প্রার্থী জাকির হোসেনও যুবদলের নেতাকর্মীদের গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

তবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন যুবদলের আরেকটি অংশের নেতারা, যারা দাবি করছেন যুবদলের রাজনীতিতে শব্দর আলী ও জাকির হোসেনের কোন অবদান নেই। এই বিষয়টিকে শব্দর আলী ও জাকির হোসেন দাবি করছেন এটা ষড়যন্ত্রমুলক প্রপাগান্ডা। তারা দুজনই দলের ত্যাগী নেতা হিসেবে দাবি করেছেন। যদিও জাকির হোসেন আগে ছাত্রদলের রাজনীতিতে ছিলেন। এই দুই নেতার পক্ষে যেমন যুবদলের নেতাকর্মী রয়েছে তেমন তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছেন একাধিক নেতাকর্মী। কারন এখানে প্রায় ডজন খানিক নেতা যুবদলের নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছেন।

সভাপতি প্রার্থী শব্দর আলি দাবি করেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে ডজন মামলার আসামী হয়েছি। চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বর্তমানে আটটি মামলায় হাজিরা দিতে হয় আমাকে। মাসের মধ্যে কয়েকদিন পরপরই আসতে হয় আমার আদালতপাড়ায় হাজিরা দিতে।

তাছাড়া তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বহুবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। জেল খাটতে হয়েছে আমাকে কয়েকবার।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং যুবদলের সেক্রেটারি প্রার্থী মো: জাকির হোসেন মেম্বার বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালবেসে বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামী হতে হয়েছে আমাকে। আর এই মামলার কারণে আমাকে জেলও খাটতে হয়েছে ১২৭ দিন। এখন হাজিরা দিতে হয় প্রায় প্রতি মাসে। আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি সাধিতও হয়েছি। বিএনপির রাজনীতি করা আমার কাছে একটা নেশায় পরিনিত হয়ে গেছে।

তিনি আরোও বলেন, নেতাকর্মীরা যদি চায় তাহলে আমি সাধারণ সম্পাদক হব। তাছাড়া জেলার শীর্ষ নেতারা যদি মনে করেন আমি আড়াইহাজার যুবদলের নেতৃত্ব দিতে যোগ্য ব্যক্তি তাহলে আমাকে দিবেন। আর যদি আমার চেয়ে অন্য কোন যোগ্য নেতাকে দিলে দল সুসংগঠিত হয় তাকে দিলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না।