সান নারায়ণগঞ্জ
নির্বাচন যতই সামনে আসছে নতুন নতুন চমক অপেক্ষা করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের প্রেস সচিব যখন বলেছেন- ‘জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সেটা তাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, তারা নিষিদ্ধ দল নয়।’ প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টিও ভোটের মাঠে সরব হওয়ার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। এরি মাঝে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মসীহ।
দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা গোলাম মসীহ্ এবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে।
তবে যে কোনো সময় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন খোকাকে ভোটের মাঠে নামতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করছেন।
৫ ডিসেম্বর শুক্রবার ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমীর মুফতি রেজাউল করিম তাঁর প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলে নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়।
এর আগে সোনারগাঁ উপজেলা সেক্রেটারি ফারুক আহমেদ মুনসি এ আসনে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে সরিয়ে এনে মনোনয়ন দেওয়া হয় বহুমাত্রিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অধিকারী গোলাম মসিহকে।
ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, “গোলাম মসিহ সাহেব ২০১৩ সাল থেকেই আমাদের দলের সঙ্গে আছেন। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতেই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দেশে আরও কিছু আসনে চমক থাকবে।”
জানাগেছে, গোলাম মসীহ ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০১৪ সালেও একই দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল আউয়ালের তৃতীয় পুত্র। তার পৈত্রিক নিবাস সোনারগাঁও পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন নোয়াইল গ্রামে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্নের পর তিনি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম, টোটাল গ্যাস, এশিয়া স্যাটেলাইট, হংকং টেলিকম ও জেনারেল অ্যাটমিকসসহ একাধিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসি’র স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।
২০০৬–২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাতীয় পার্টির আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ক প্রেসিডিয়াম সদস্য।


