সান নারায়ণগঞ্জ
বিরাট ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে মিথ্যা সাজাটো ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর ৩ জুন মঙ্গলবার রিয়াদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ তার মুক্তির বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ চাঁদাবাজির দুই মামলায় তাকে জামিন দেন।
এদিকে, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর মুক্তির খবরে ফতুল্লা বিএনপিসহ সাধারণ মানুষর মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ফতুল্লা বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা তাদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমাদের প্রাণের নেতা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে আবারো ফতুল্লা বিএনপির নেতৃত্বে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নেতৃত্বে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রাণ রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী এটা প্রমানিত হয়েছে, যথা সামান্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষীকি পালনের মধ্য দিয়ে।
মূলত, ফতুল্লা বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিকল্প এখনো নেই বলেও নেতাকর্মীরা দাবি করেন। তাই বিএনপির সাবেক নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে আবারো ফতুল্লা বিএনপির হাল ধরার সুযোগ দিবেন কেন্দ্র এমনটাই নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা।
গত ১৫ মে সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সেদিন সন্ধ্যায় তাকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শামীম হোসেন একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ ছাড়া ১৮ মে ড্রেজার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে আরও একটি সাজানো মামলা দায়ের করেন।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।