সাংবাদিকের উপর হামলাকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়ালেন খোরশেদ মোল্লা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের দুই সাংবাদিকের উপর হামলাকারী সালাউদ্দীনের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সড়ে দাঁড়িয়েছেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিএনপিপন্থী সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা। সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে উক্ত আসামীর পক্ষে মামলা পরিচালনা থেকে সড়ে দাঁড়ান তিনি।

৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে অনাপত্তিপত্র প্রদানের মাধ্যমে তিনি আইনজীবী হিসেবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গিয়ে আসামির পক্ষে আর মামলা পরিচালনা করবেন না বলে আসামি পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন।

একই সঙ্গে উক্ত আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের মামলার আসামী, সে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না খোরশেদ আলম মোল্লা। যদিও ওই মামলায় আসামি সালাউদ্দীনের পক্ষে আইনজীবীও নন খোরশেদ আলম মোল্লা। সেই সাথে পরের মামলাটি সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় সৃষ্ট মামলার বিষয়টিও অবগত ছিলেন না তিনি।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, সালাউদ্দীন সাংবাদিকের উপর হামলার মামলা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্যা মামলার আসামী, এ বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আসামীপক্ষ বিষয়টি আমার কাছে গোপন করেছেন। এখন আমি এই বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাই আমি অনাপত্তিপত্র দিয়ে তার পক্ষে মামলা পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এখন থেকে আমি তার পক্ষে মামলায় আইনিগতভাবে লড়বো না।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা আমার ভাই। তাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। তাদের বিপক্ষে গিয়ে মামলা পরিচালনা করবো এটা হতেই পারে না বরং আমি সবসময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম। সাংবাদিকদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে লড়াইয়ের জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছি।

অন্যদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকার সালাউদ্দিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং একাধিক মামলার আসামি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে আজমেরী ওসমানের বাহিনীর সাথে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায়। যে কারণে তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্যার মামলা হয়। সে মামলায় সালাউদ্দিন এজাহার ভুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়।

আর জামিনে বের হয়েই সালাউদ্দিন আবারো সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সালাউদ্দিনকে।