শীর্ষ দুই নেতা মুলদলে, ছ্ন্নছাড়া বন্দর উপজেলা যুবদল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আওতাধীন জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছন্নছাড়া বন্দর উপজেলা যুবদল। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনের পর আহ্বায়ক মহিউদ্দীন শিশির ও সদস্য সচিব শাহিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিটির সকল নেতাদের এক টেবিলে বসতে দেখা যায়নি। ওয়ার্ড তো দুরের কথা, ইউনিয়ন কমিটি গঠনেরও কোনো উদ্যোগে নিতে পারেননি তারা। এরি মধ্যে বিএনপির মুলদলের রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় শীর্ষ দুই নেতা, যেখানে মহানগর বিএনপির সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আহমেদ।

যুবদলের কমিটির গঠনের পর আহ্বায়ক মহিউদ্দীন শিশির ও যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট হাসান সুজনের মধ্যে পৃথক দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। মোটকথা বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথের রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় থাকলেও তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। জেলা যুবদলের কর্মসূচিতে বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতারা নিজ নিজ বলয়ের কর্মীদের নিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচিতে যোগদান করছেন। এ ছাড়াও ছাত্রদল থেকে বেশকজন নেতা যুবদলের রাজনীতিতে আসার চেষ্টায় জেলা যুবদলের কর্মসূচিতে সক্রিয় হচ্ছেন।

২০২১ সালের ১৫ মার্চ মহিউদ্দীন শিশিরকে আহ্বায়ক ও শাহিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করেন তৎকালীন জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, দেলোয়ার শাহ, মামুন মিয়া, মীর আব্দুর রহিম, কাউসার হামিদ খান, সম্রাট হাসান সুজন, রাসেল এনামুল হক, গোলবক্স ভুঁইয়া রাসেল ও জাহিদ খন্দকারকে রাখা হয়।

কমিটি গঠনের পর থেকে বন্দর উপজেলা যুবদলের শীর্ষ নেতাদের মাঝে একতা দেখা যায়নি। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নিজেরাই একসাথে বসতে পারেননি। অন্যান্য থানা/উপজেলা যুবদলের চেয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বন্দর উপজেলা যুবদল। শিশির, শাহিন, সুজন ও জাহিদ খন্দকারকে পৃথকভাবে নিজ নিজ বলয় নিয়ে রাজনীতিতে সরব থাকলেও তারা এক হতে পারেনি। শাহাদুল্লাহ মুকুল রাজনীতি করছেন মহানগর যুবদলের সঙ্গে। তবে বন্দর উপজেলা যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা যখন বিএনপির মুলদলের রাজনীততে সক্রিয়, তখন বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা যুবদলের কর্মসূচিতে যোগদান করছেন সুজন। যুবদলে সক্রিয় রয়েছেন জাহিদ খন্দকারও।

এসব কারনে যুবদলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন- বিএনপির সামনের আন্দোলন সংগ্রামকে আরো গতিশীল ও বেগবান করতে হলে বন্দর উপজেলা যুবদলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো উচিত। রাজপথের নেতাদের হাতে বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতৃত্বে তুলে দিলে সামনের আন্দোলন সংগ্রামে কঠোর ভুমিকা রাখতে পারবে বলে নেতারা মনে করছেন। নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, সব থানার কমিটিগুলোর মেয়াদ রয়েছে। যে কারনে কমিটি এখনিই ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা করছি না। মেয়াদ শেষ হলে তখন নতুন কমিটি গঠন করা হবে।