আড়াইহাজারে জিডি করায় ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা, চোখ ও পায়ে গুরুত্বর জখম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে দীর্ঘ দিন গৃহবন্দী থাকার পর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি (সাধারণ ডাইরী) করায় এর জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাত পা ও চাখে গুরুত্বর জখম হয়েছেন এবাদুর রহমান (৩৫)। ঘটনাটি গত ২৩ অক্টোবর ঘটলেও প্রতিপক্ষের বাঁধার মুখে বিষয়টি মিডিয়ার সামনে আনতে পারেনি ভুক্তভোগি এবাদুরের পরিবার। ২৬ অক্টোবর বুধবার এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করতে এসে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া এবাদুরের ভাই আবুল হোসেন। আহত এবাদুর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং তিনি একজন ব্যবসায়ী।

থানায় অভিযোগের সূত্রে জানা যায় যে, এবাদুরের সঙ্গে এলাকার নানা বিষয় নিয়ে শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে আসছিল একই এলাকার আবুল কাশেম, বাবুল প্রধান, সেলিম প্রধান ,আব্দুল্লাহ প্রধান গং। তারা এবাদুরকে যেখানে পায় সেখানেই খুন করবে বলে হুমকী দিলে তিনি দীর্ঘদিন ঘরের বাহির হননি। কিন্তু বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় এবাদুর গত ২৩ সেপ্টেম্বর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই অভিযুক্তদের নামে আড়াইহাজার থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন ( জি ডি নং ১০৩২)। এ সাধারণ ডায়রীই তার জীবনের কাল হলো। জিডি করার সংবাদ পেয়ে আসামিরাা এবাদুরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টারি দকে এবাদুর নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে এক স্থানে জমি বায়না করার জন্য যান। তিনি উপজেলার পোড়াবাড়ি (খোরশানের বাড়ির সামনে) যাওয়া মাত্র তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘারের হাড় কেটে ফেলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে চুর্ণ বিচুর্ণ করে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয় এবং তার ডান চোখ চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নষ্ট করে দেয়। তার সঙ্গে থাকা ১০ লাখ টাকা লুটে নিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিৎ জেনে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে চলে যায়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।