আজাদকে জুতাপেটার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির রাজনীতি ছাড়লো যুবদল নেতা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক। মাহমুদুর রহমান সুমনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে জুতাপেটার ঘোষণা দেন পারভেজ মল্লিক। যদিও পারভেজ মল্লিক তার বক্তব্যে আজাদের নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ না করে আজাদকে ইঙ্গিত করে আন্তর্জাতিকমার্কা নেতা আখ্যায়িত করেন। যা নেতাকর্মীদের ভাষায় ‘অনেকটা জোসের ঠেলায় পারভেজ মল্লিক এমন মন্তব্য করেছেন।’

তবে একই সঙ্গে পারিবারিক সিদ্ধান্তের অজুহাত দেখিয়ে পারভেজ মল্লিক জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদসহ বিএনপির সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে ঘোষণা দেন।

৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর দেওভোগস্থ পারভেজ মল্লিকের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে নোটারি পাবলিকেশন্সের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন তিনি। এসময় পারভেজ মল্লিকের বড় ভাই পাভেল মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পারভেজ মল্লিক বলেন, গত ৩১শে অক্টোবর আড়াইহাজারে একটি বিএনপির অনুষ্ঠানে আমি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ভাইকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছি। যা প্রকৃতপক্ষে আমার ঠিক হয়নি। আমাকে এই বক্তব্য দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাধ্য করেছে। আমি যেন নজরুল ইসলাম আজাদ ভাইকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করি। নজরুল ইসলাম আজাদ ভাই আড়াইহাজারের তথা নারায়ণগঞ্জের মাটিও মানুষের নেতা। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একজন অভিভাবক। তিনি হলেন একজন কেন্দ্রীয় নেতা। উনার সম্মান অনেক বেশি। আমার মতন একজন ক্ষুদ্র কর্মী উনার মতন একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে নিয়ে এধরনের মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। আমি আজাদ ভাইয়ের কাছে অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী । আমি আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছেও লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

তিনি আরও বলেন, আমার এই কটুক্তি মূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় দেখার পরে আমার পরিবারের দৃষ্টিকটু হয়েছে। পরবর্তীতে আমার জম্মদাতা বাবা বলেছে তোমার এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। মানি লোককে সম্মান দিতে শিখতে হবে। মানুষকে সম্মান না দিতে পারলে রাজনীতি করার দরকার নাই। আমি চাইনা তুমি রাজনীতি করো। রাজনীতি করতে গিয়ে আমি আমার ছোট ভাইকে হারিয়েছি। আমি চাইনা তোমাকে হারাতে। তাই তুমি সব ধরনের রাজনীতি থেকে সরে দাড়াও তাহলে আমি মৃত্যুর পরও শান্তি পাবো তুমি আমাকে কথা দাও। তাই আমি আমার বাবার আদেশ মান্য করে ও আমার পরিবারের সদিচ্ছায় বিএনপির রাজনীতি সকল প্রকার কর্মকাণ্ড মিটিং-মিছিলসহ সব ধরনের রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেমন বাকি জীবন আমার বাবা- মা ভাই বোনসহ পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি।