প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তৈমূর আলমের আকুতি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তিন ফসলী জমি, খাল, বিল ও নদী-নালা রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার মিডিয়াতে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আবেদন জানান।

তৈমূর আলম খন্দকার প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি প্রায়ই বলে থাকেন যে, “তিন ফসলী জমি ভরাট করা যাবে না, খাল, বিল, নদী-নালা ভরাট করা যাবে না, পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না, অপরিকল্পীতভাবে কোন শিল্প কলকারখানা বা আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। জমি ব্যবহারে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।” কিন্তু ভূমিদস্যুরা এতোই প্রভাবশালী যে, আপনার নির্দেশের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই রাজধানীর আশে পাশে বিশেষ করে রূপগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের নামে তিন ফসলী জমি, খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালা ভরাট করে ফেলছে।

রূপগঞ্জ এলাকায় সবচেয়ে বেশী জমি বালু দিয়ে ভরাট করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপ রূপগঞ্জে তিন ফসলী জমি ভরাট করে আবাসন করার জন্য সরকার বা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন প্রকার অনুমতি গ্রহণ করে নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রূপগঞ্জে এখন আর ধান, সবজি ও মাছের চাষ হচ্ছে না, এখন শুধু হচ্ছে বালির চাষ। বসুন্ধরা গ্রুপ নিজেই অনেকগুলি পত্রিকার মালিক। কেহ এই বালু ভরাটের প্রতিবাদ করলে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন পত্রিকাগুলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চরিত্র হরণ করে সিরিজ আকারে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করতে থাকে। এ কারণে অবৈধ বালু ভরাটের বিরুদ্ধে মানুষ ভয়ে কথা বলতে চায় না। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বালু ভরাটের কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৭০টি ড্রেজার বসানো হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এই বালু ভরাটের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার বলিষ্ট হস্তক্ষেপ ছাড়া তিন ফসলী জমি, খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালা ভরাট বন্ধ হবে না।

ভূমিদস্যুরা এতোই শক্তিশালী যে, তাহারা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞাও মান্য করছে না। অবৈধ বালু ভারাটের বিষয়ে মহামান্য হাই কোর্টে কয়েকটি রিট পিটিশনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলেও তা কার্যকর হয় নাই। রূপগঞ্জের সাধারণ কৃষকগণ এখন অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নিজের কৃষি জমি বালু দ্বারা ভরাট হয়ে যাচ্ছে, একমাত্র মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারক লিপি দেয়া ছাড়া অসহায় কৃষকরা অন্য কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট কেহ বা জেলা প্রশাসক এ বালু ভরাটের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে দাড়াচ্ছে না। অসহায় কৃষকরা এখন আপনার মূখের দিকে তাকিয়ে আছে।