সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবী হয়ে পড়েছে জনবিছিন্ন। মহামারি এ ভাইরাসটি কারণে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে একের পর এক দেশ। লকডাউন করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের অঞ্চল ও শহর। এতে ব্যতিক্রম হয়নি বাংলাদেশে। গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী সনাক্ত হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ থেকে সকল অফিস আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে গণজমায়েত থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক সামাজিক ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে, অফিস আদালত ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাদ্য অভাবে পড়েছে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ। এসকল মানুষের খাবার নিশ্চিত করতে সরকারী বেসরকারী পর্যায় থেকে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী, সাথে দেয়া হচ্ছে করোনা সচেতনা সুরক্ষা সামগ্রীও। এসব সামগ্রী দিতে গিয়ে করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার চেয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
অনেক সময় দেখা যায় যারা খাবার সামগ্রীগুলো বিতরণ করছেন তারা সামাজিক দুরত্ব না মেনে গাধাগাধি করে একজন আরেকজনকে ঠেলে হাতে সাথে হাত মিলিয়ে একটি ছোট খাবার সামগ্রীর প্যাকেট কয়েকজন মিলে ধরছেন। এতে করে সহজেই করোনা ভাইরাসটি একজন থেকে আরেকজন সংক্রমন হতে পারে। সে রকম একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচনা মুখে পড়েছেন একজন ডাক্তার। ছবিটি পোস্ট করার পর সে ছবিটি মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি একটি ধাঁধাঁ লিখে ছবিটি তার আইডিতে পোষ্ট করেন।
ধাঁধাঁতে তিনি লিখেছেন, বলুনতো দেখি ৫ কেজি ওজনের একটি প্যাকেট উপরে তুলতে কতজনের হাতের স্পর্শের প্রয়োজন। ছবিটি পোষ্ট করার পর ৪৯টি শেয়ার ও ১৬৭ কমেন্ট পড়ে। কমেন্টসে ছবিটি নিয়ে একেক জন একেক ধরণের মন্তব্য করেন। সেখানে অনেকে লিখেন একজন ডাক্তার ও নেতা হয়ে সামজিক দুরত্ব বজায় না রেখে কিভাবে ছোট একটি প্যাকেট তুলে দিতে ৮/৭ জনের হাত লাগিয়েছেন। যেখানে একজন ডাক্তার মানুষকে সামাজিক দুরত্বে থাকতে উপদেশ দিবেন সেখানে তিনি নিজেই দুরত্ব ভেঙ্গে একজনের হাতের সাথে আরেক জনের হাত লাগিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। এটা সত্যিই হাস্যকর। অনেকে আবার মন্তব্য করেছেন ডাক্তার সাহেব ৫ কেজি ত্রাণের প্যাকেট তুলতে একাধিক লোকের সাহায্য নিয়েছেন।
অনেকে লিখেছেন একটি প্যাকেট তুলতে মিনিমাম দশজন তো লাগবেই। আবার অনেকে লিখেছেন এটার ভিতর মনে হয় আলাউদ্দিনের চেরাগ আছে, ঘঁষা দিলেই চাল ডাল সব বেরিয়ে আসবে। এ রকম হরেক রকমের কমেন্টস করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। অনেক আবার লিখেছেন ডাক্তার করোনা সচেতনতা তৈরী করতে এসে করোনার সংক্রমন বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, করোনার প্রার্দূভাবের কারনে বেকার হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে ৩ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর বিরুর উদ্যোগে উপজেলার জামপুর উটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণের সময় তোলা একটি ছবি তা সমর্থকেরা ফেসবুকে পোষ্ট করেন। এরপর থেকে শুরু হয় সমালোচনা। উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির ব্যানারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলেও সেখানে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের কেউ ছিলেন না। এ নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।