সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রাতেও থেমে নেই কর্মহারা মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু। টানা দ্বিতীয় দিনেও রাত-দিন তার নির্বাচনী ওয়ার্ডের চারটি এলাকায় করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহারা পরিবারদের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের নিজ তহবিল থেকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করে যাচ্ছেন কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু।
এদিকে ৩ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের বাগে জান্নাত মসজিদ এলাকা ও মিশনপাড়ায় জনসমাগম না ঘটেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হতদরিদ্র মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০ কেজি করে চাউল তুলে দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু করে। ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই চাউল বিতরণ করে যাচ্ছেন কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু।
কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু জানান, ২ এপ্রিল প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খানপুর শাখা রোড ও মোহসীন ক্লাব এলাকার কর্মহারা পরিবারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান নিজ তহবিল থেকে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল মাধ্যমে টানা কার্যক্রমের শুরু করা হয়। এমপির খুব আন্তরিক ও হৃদয়বান মানুষ। নাসিক ১২নং ওয়ার্ড তার নিজের ওয়ার্ড, তিনি যেভাবে আন্তরিকভাবে এলাকায় কর্মহীনদের প্রতি চাল দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কাল মিশনপাড়া, পরশু উত্তর চাষাড়া, পরেদিন চাঁনমারী ও ইসদাইর, এর পরের দিনর ডনচেম্বার এলাকায় দিন-রাতে বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এমপি সেলিম ওসমান নাসিকের শহর এলাকার অন্যতম ১২নং ওয়ার্ডের নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বেকার হয়ে দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষগুলো জন্য ৭ হাজার কেজি চাল পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমানের নিদের্শনায় এলাকার হতদরিদ্র মানুষদের সেই অনুযায়ী প্রত্যেকের ঘরে ঘরে চাল পৌছে দেয়া হবে।
বিশ্বের মহামারী করোনা ভাইরাস যখন চিন্তিত, তখন এর রোগের প্রতিরোধে জনগণের কল্যাণে এগিয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকু। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একের পর এক নানা কর্মসূচি চালিয়ে ইতিমধ্যে মানুষের মুখে মুখে উঠে এসেছেন।
করোনা ভারাস প্রতিরোধে নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে ১৫ মার্চ থেকে হেক্সিসল, সাবান ও মাস্ক বিতরণ শুরু করেন। হ্যাক্সসল, মাস্ক, সাবান ও চলমান যানবাহনে আমি স্প্রে করা শুরু করে। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে এই কাজ চলমান থাকে, তারপর দেখলাম করোনা ভাইরাসের কারণে খাবার ক্রাইসিস দেখা দিয়েছে। যার পরিপেক্ষিতে ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত নিজ অর্থায়নে প্রতিদিন ৩’শ করে পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এর পাশাপাশি ১ এপ্রিল বুধবার সকাল শুরু করে বিকেল পর্যন্ত গাড়ির দুই দিকে দুই ফগার মেশিন বসিয়ে ১২নং ওয়ার্ড জুড়ে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। এ রকম ৫টি ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকু বলেন, এই খাবারগুলো বিতরণ করা হয়েছে শুধুমাত্র যারা বেকারগ্রস্থ হয়েছে এবং যারা গরীব ও অসহায় পড়েছে। যে পর্যন্ত আমি সুস্থ আছি আল্লাহর রহমতে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি ফগার মেশিন মশার ওষুধ স্প্রে করেছি। এভাবে আমাদের নানা কার্যক্রম চলমান থাকবে।