সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপদগ্রস্থ দিনমজুর ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। আয়োজকদের দাবিমতে- জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে সেই আয়োজন থাকলেও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারির কেউ ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহামুদ উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। ওই অনুষ্ঠান কাদের নেতৃত্বে হয়েছে তা নিয়ে মোহামুদ উল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম রফিকের অবস্থান মুখোমুখী। কারন রফিককে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ পোস্ট করেন মোহামুদ উল্লাহ। যা নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মোহামুদ উল্লাহ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে রফিকুল ইসলাম রফিককে ইঙ্গিত করে লিখেন, ‘রাজনৈতিক দেওলিয়ানা….চামবাজি ও তেলবাজ নেতা হওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের আপত্তির কারনে যাকে প্রোগ্রামে ইনভাইট করতে পারিনি-প্রোগ্রামই নাকি হয়েছে তার নেতৃত্বে নিউজে পাইলাম। আগে করত চামবাজি, তেলবাজি নতুন করেছে বাটপারি, চিটারি তাদের মদতদাতা, পৃষ্ঠপোষক এবং তারা আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের জন্য করোনার মত মরণব্যাধি। এদের প্রতিরোধ করতে হবে। একটা জীবনের জন্য আরেকটা সংগঠনের জন্য সময় সব স্থানে।’ তবে মোহাম্মদ উল্লাহর এমন লেখায় ডজন খানিক বানান ভুল। তা নিয়েও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে হাস্যরসিকতার সৃষ্টি হয়েছে।
মোহাম্মদ উল্লাহ একটি অনলাইনের নিউজের লিংক পোস্ট করে এসব মন্তব্য করেন। যে নিউজের শিরোনাম ছিল মোহাম্মদ উল্লাহ ও রফিকের নেতৃত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। এই বিষয়টির বিরোধীতা করেন মোহাম্মদ উল্লাহ।
অন্যদিকে ওই কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে কোন কর্মসূচি পালন করা হলে সেখানে জেলা ছাত্রদলের নেতাদের নেতৃত্বেই হবে। আর যেহেতু আড়াইহাজারে জেলা ছাত্রদলের নেতা আমরা দুজন, সেহেতু আমাদের দুজনের নেতৃত্বেই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ছাত্রদলের কর্মসূচিতে যিনিই সার্বিক সহযোগীতা করুক না কেন এটা ছাত্রদলের নেতাদের নেতৃত্বেই। এখানে থানার কোন নেতার নেতৃত্বে হতে পারেনা। তাছাড়া থানায় কোন কমিটি নেই। যারা রাজনীতি বুঝেনা তারাই বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। দল ও দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমি বিরোধ চাইনা। সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে চাই। কারন আমরা সকলে রাজপথের সৈনিক। নিজেদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টিকে তৃতীয়পক্ষ সুবিধা নিবে।
এদিকে ১ এপ্রিল আয়োজকদের একটি অংশ দাবি করেছেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনায় ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে আড়াইহাজারের দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
১ এপ্রিল বুধবার দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার থানার মোড়ে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অসহায় দিনমজুর মানুষের মাঝে চাল, ডাল, আলু সহ খাদ্য সামগ্রী ও সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন নজরুল ইসলাম আজাদ।
নারায়গঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটনের সভাপতিত্বে ও আড়াইহাজার থানা ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসাইনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তবে রফিকুল ইসলাম রফিকের দাবি মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার নেতৃত্বেই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান বাচ্চু, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খাজা মাইনউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আড়াইহাজার পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কবির হোসেন, থানা ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান, জহিরুল মোল্লা, সুমন মিয়া, আবুল বাশার সুমন, ছালাউদ্দিন সুমন, শওকত হোসেন পরাণ, বাকির মোল্লা, ইয়াছিন আরাফাত, খাইরুল ইসলাম রাসেল ও শ্যামল প্রমূখ।