মন্ত্রী এমপিদের বাড়িঘর তল্লাশি চাইলেন সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

শুধুমাত্র চুনোপুঁটি নয় রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে- মন্তব্য করে সরকারের মন্ত্রী এমপি বাড়ি তল্লাশি চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি এও বলেছেন, ‘দেশকে সন্ত্রাস, জুয়া, মাদক, ক্যাসিনোর রাজ্যে পরিনত করা হয়েছে। দেশকে শোষণ করতেই দেশের জনপ্রিয় নেত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজানো রায়ে কারাগারে বন্ধি করা হয়েছে।’

২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

সাত খুনের ঘটনায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা দেশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের না ধরে চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে। চুনোপুঁটি না ধরে মন্ত্রী এমপি আর আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করে তাদের বাড়ি ঘর তল্লাশি করলে অবৈধভাবে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া যাবে। মন্ত্রী এমপিদের বাড়ি তল্লাশি করা হোক।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত এই সাবেক সভাপতি আরও বলেন, রাতের অন্ধকারে সিল মেরে ক্ষমতায় এসে এই অবৈধ সরকার আদালতকে তাদের কব্জায় নিয়ে গেছে। আর আদালতকে ব্যবহার করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছে। সেই সাথে বাংলার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। প্রহসনের নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের মুখোশ উন্মোচন হতে শুরু হয়েছে। যে টাকা উপার্জন করার জন্য মেহনতি মানুষকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে, সেই টাকা এই সন্ত্রাসী লীগের নেতারা কুচি কুচি করে ছিড়ে রাস্তায় আর ডোবা নালায় ফেলে দিচ্ছে। দেশের সকল ব্যাংক লুট করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী লীগের নেতারা। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পুতুল সরকার দেশের মানুষের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে।’

সাখাওয়াত বলেন, যাদের শ্রমে আর ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে সেই শ্রমিকদেরই আজ কোন অধিকার নেই। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের বেশীরভাগ কল-কারখানা আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা দখল করে রেখেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শ্রমিকদেরকে মুক্তি দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন বাংলার জনগণকে এই অবৈধ সরকারের নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে হলে সবার আগে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্যে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে বেগম জিয়াতে মুক্ত করে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আর সে আন্দোলনে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। সবাইকে সে আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে উপস্থিত সকল নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার বলেন, বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ অবৈধ সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি। আমাদের আপোষহীন নেত্রী আমাদের মা বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের জন্য আমরা শ্রমিক দলের প্রতিটি নেতাকর্মী সর্বদা প্রস্তুত আছি। সেই দিন বেশী দুরে নেই যেদিন বাংলার জমিন থেকে এই জুলুমবাজ সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে আমাদের মাকে আমরা মুক্ত করে নিয়ে আসবো।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন খান, মনির হোসেন খান, সলিমুল্লাহ বাবুল, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, মোঃ রোমান হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম রিপন, পারভেজ মল্লিক, স্বপন চৌধুুরী, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, রাসেল রানা, সহ-সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সজিব খন্দকার, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক নবু হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক অপু রহমান, জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, পরিবহন দলের সভাপতি শহিদ হোসেন, হোসিয়ারি শ্রমিক দলের সভাপতি মো. মতিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারি, বন্দর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, রূপগঞ্জ থানা শ্রমিক দলের সভাপতি ইদ্রিস আলী।

মানববন্ধনে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মো. শাহাবুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সম্রাট হোসেন সুমন, জসিম উদ্দিন, নবু হোসেন, শাকিল গাজী, আবদুল জলিল শিকদার, লিংকন খান, দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, আবে জম জম মোল্লা, নুর হোসেন, মোহাম্মদ রনি, মোঃ মোক্তার, আল আমিন, মোঃ ফয়সাল, সাখাওয়াত হোসেন জ্যাকি ও মো: আবদুল্লাহ প্রমুখ।