না’গঞ্জে বিএনপির পদ নিয়েও সরকারি দলের রাজনীতি করা যায়: তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির শীর্ষ পদে থেকেও এখানে সরকারি দলের রাজনীতি করা যায় বলে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিস্ময়ের সাথে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ পদে থেকেও এখানে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করা যায়। বিএনপির পদ নিয়ে সরকারি দলের নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে মিছিল করে সরকারি দলের সমাবেশে যোগদান করছে। এখন আর এসব বলতে ইচ্ছে করে না। কারন এসব বললেও কোন এ্যাকশন হয়না। তাই এসব বলতেও চাইনা।’

১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে নারায়ণঞ্জ মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় তার মজলুম মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর কৃষকদলের সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমার ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগ হয়নি। আমি বরং তখন থেকেই শ্রমিক সংগঠনের রাজনীতি শুরু করেছি। আমি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সাথে কাজ করেছি যারা এখনও বেঁচে আছে তাঁরা বলতে পারবে। সেই সময় আমার একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, একটি কারখানায় আমরা গিয়েছিলাম শ্রমিকদের পক্ষে আলোচনা করার জন্য তখন সেই কারখানার মালিকের ছেলে বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে এসেছে, তাঁকে যখন আমাদের শ্রমিকদের বিষয়ে বোঝালাম তখন তিনি বললেন, এটা তো ভালো বিষয় আমিও করবো।

‘তখন আমাদের তাকে বোঝাতে কষ্ট হয়েছিলো যে, আপনার স্বার্থ আর আমাদের স্বার্থ এক নয়, যেমন লায়ন্স ক্লাব ও নোটারী ক্লাব এক নয়। তবে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি করেও অন্যদল করা যায়। বিএনপির নেতা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির বড় পদে আছে এবং জেলা কমিটির বড় পদে আছে তাঁরাই যায় আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে তাঁরা বসে পরে জাতীয় পার্টির মিটিংয়ে। আবার তাঁদের সাহায্যেই আওয়ামীলীগ নির্বাচন করেছে, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করেছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সভাপতি শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সচিব হাসান ফাকির তুহিন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য এসকে সাদি, কেন্দ্রীয় সদস্য নাজিমউদ্দিন হাজারি,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি সিটি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমূখ।