আড়াইহাজার বিএনপির ব্যানারে আজাদ অনুগামীদের প্রতিবাদ সভা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আবারো কর্মসূচি পালন করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ অনুগামী নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হলেও সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি কেউই উপস্থিত ছিলেন না। নিজদের মনগড়ামত উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে আজাদ অনুগামী নেতাকর্মীরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করছেন।

জানাগেছে, ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচরুখী এলাকায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন আজাদ অনুগামী নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ জলা বিএনপির সহসভাপতি লুৎফর রহমান আব্দুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়াার হোসেন অনু, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল হোসেন, সদস্য সাদেকুর রহমান, আফজাল হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মতি, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আড়াইহাজার থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম লাভলু, মনির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আহসান উল্লাহ, আলমগীর, আড়াইহাজার থানা ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর মেহেদী হাসান রানা, নাজমুল ইসলাম রনি, মো. অপু ও জহিরুল মোল্লা প্রমুখ।

এদিকে লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। মামলায় লন্ডনে বসবাসকারী আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (‘ক’) অঞ্চল আমলী আদালতে আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জয়বাংলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের কার্যকরী কমিটির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন বাদল মামলাটি দায়ের করেন।

পরে এই আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিল্টন হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলায় তারেক জিয়া সহ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক কওছর এম আহমেদকেও আসামি করা হয়।

বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেন, লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ গত ১৯ আগস্ট ২০১৯ এনটিভি, নিউজ টুয়েন্টিফোর ও বিডিনিউজে মামলার ২ ও ৩ নং বিবাদীর সহায়তায় প্রচারিত হয়। এতে দেখা যায়, ১ নং বিবাদী তারেক রহমান তার বক্তব্যে সেদিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর কথাবার্তা বলেন।

তিনি বলেছেন, শেখ মুজিব প্রেসিডেন্ট আর নজরুল ইসলাম ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকলে সংবিধান গঠিত না হওয়া পর্যন্ত। শেখ মুজিব ১০ তারিখে আসলেন আর ১২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন কোন সংবিধান নাই। তাহলে আমরা কি বলতে পারি শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। বলতে গেলে শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি।
আমরা কি এটাও বলতে পারি না যে, শেখ মুজিব এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন সেটা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭২ সালে এসে শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন আর আজকে তার কন্যা যেভাবে অবৈধভাবে নির্বাচিত শেখ মুজিবও সেদিন অবৈধভাবে জোর করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন। যেভাবে আজকে জোর করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা বলেন, বিবাদীগণ বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ৫০০ ও ৫০১ ধারায় অপরাধ করেছেন।

তিনি আরও জানান, আদালত তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার আগামী শুনানি আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। এমামলায় বাদীসহ আরো ৩ জন্য স্বাক্ষী রয়েছেন।