সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মারবদী গ্রামের জমি সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি নিরিহ পরিবার। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে দিনমজুর মোঃ কাশেম বাদী হয়ে ১২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

জানাগেছে, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মারবদী গ্রামের দিনমজুর মো. কাশেমের সাথে একই গ্রামের একাধিক মামলা আসামি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল এরই জের ধরে গত বছরের জুনমাসে কাশেম ও ছেলে জুবরাজকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তার স্বজনরা ও আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা দেওয়া পর তার ছেলেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতলে নিয়ে চিকিৎসা করান। এ ঘটনায় কাশেম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা মামলা নাম্বার ৩৯/৬/২০১৮ইং।

পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই রাজু মন্ডল দেলোয়ার, সোবহান, বাদলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরের দিন তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। দীর্ঘ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে কাশেমের পরিবারের লোকজনকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওই দিনমজুর প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে বর্তমানে পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাড়িয়ারচর এলাকায় তার শশুর বাড়ীতে বসবাস করিতেছে। এ সুযোগে চলতি মাসে ১৪জুন রাতে আবদুল সোবহানের হুকুমে দেলোয়ার, আক্তার, বাদল, কামাল, শাহীন, সবুজ, সুমন, আবুবকর, মিলন কামাল, আবু সহ দিনমজুর কাশেমের বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ঘরের তালা ভেংঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আসবাসপত্র সুকেজ রেক আলমারী টেবিল ফ্যান সহ প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার বাড়ি ঘরে আগুন ধরাইয়া দিয়ে পুড়ে ছাই করে দেয় ।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে দিনমজুর মোঃ কাশেম বাদী হয়ে ১২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ১৪৮/২০১৯ইং। এলাকাবাসী আরো জানান, দেলোয়ার তার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। তার বিরুদ্ধে সরকারী খাস পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে তার বাড়িতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী আরো জানায়, মারবদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এ ব্যাপারে একাধিক মামলার আসামি দেলোয়ারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।