অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ কায়সার মোশারফ কালাম!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে শীর্ষ তিন নেতার অস্তিত্ব যখন সংকটে পড়েছে তখন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এর আগে হাতছাড়া হয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি। যেখানে ঠাঁই মিলেনি এই তিন নেতার কারোরই। তবে তিনজনই ওই কমিটিতে ‘অবৈধ কমিটি’ দাবি করে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরেও মাহফুজুর রহমান কালাম সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদটি এখন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদ হিসেবেই ব্যবহার করছেন। যা নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতা বলেছেন, এটাই অবৈধভাবে ব্যবহার।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মধ্যে বিভক্তি কোন্দল ভুলে এবার একসাথে রাজনীতি করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামারও ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল।

জানাগেছে, গত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কায়সার, কালাম ও মোশারফ হোসেন ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মোশারফ হোসেন ও কালাম। কায়সার তার আপন চাচা মোশারফ হোসেনকে সমর্থন না দিয়ে ওই নির্বাচনে কালামের পক্ষে সমর্থন দেন। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোশারফ হোসেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর কায়সার হাসনাতের পক্ষে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক ছিলেন কালাম। কালামই হয়ে ওঠেছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তখন কায়সার হাসনাতের হদিসও খুজে পায়নি। ফলে কালামও তার লোকজন মোশারফ হোসেনের লোকজনদের উপর লেলিয়ে দেয়। বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রন নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এমনকি লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য নির্মাণের টেন্ডার নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বঙ্গবন্ধুর প্রতীকী ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ এলাকা নিয়ে ওই আসনের এমপি ছিলেন কায়সার হাসনাত। বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রক ছিলেন কালাম। কায়সার হাসনাত এমপি থাকাকালীন সময়ে তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অর্থের লেনদেনের অভিযোগ ওঠেছিল বেশকবার। এমপিকে তখনও খুজেও পাওয়া যায়নি। কায়সার হাসনাতের ক্ষমতার শেষের দিকে কায়সার হাসনাতের পরিনতির সম্ভাবনা দেখে কালাম তার আখের গুছিয়ে সটকে পড়েন। কায়সার হাসনাতের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের খোজ খবর রেখে একচ্ছত্র নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রকও হয়ে যান কালাম। কালাম সরে গেলে এক হয়ে যান চাচা মোশারফ হোসেন ও ভাতিজা কায়সার হাসনাত।

এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের রাজনীতির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক এখন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের জেরেই মুলত আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিটকে গেছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম। সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে বেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন কায়সার হাসনাত ও কালাম। নতুন আহ্বায়ক কমিটির সকলেই এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্ব মানেন। নতুন কমিটির নেতারা মুলত শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও জানা গেছে। ফলে সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এখন শামীম ওসমান।

এদিকে আরও জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া দীর্ঘদিন যাবত শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করছেন। যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমও শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন। সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি নিয়ে বেশ স্বস্থিতে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও। তার শক্ত প্রতিদ্বন্ধি কায়সার হাসনাত ও কালাম পড়েছেন বেশ বেকায়দায়। ফলে এমপি খোকার অবস্থান আরো পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে সোনারগাঁয়ে।

কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী ও সামসুদ্দিন খান আবু। এদের মধ্যে একমাত্র আরিফ মাসুদ বাবু শামীম ওসমানের বলয়ের বাহিরে রাজনীতি করেন। বাকিরা সবাই শামীম ওসমানের অনুগামী। কেউ কেউ এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক রেখে রাজনীতি করেন। আবার এমপি খোকার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে শামীম ওসমানের। ফলে এমপি খোকাও বেশ স্বস্থিতে রয়েছেন।

কমিটি গঠনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল জানিয়েছিলেন, গত ১৩জুলাই অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রতিটি উপজেলা ও থানা এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাবনা উঠে এবং সকলের সম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে ১৫ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি করে অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ৮ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটির লিখিত প্রস্তাবনা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর প্রেরণ করা হয়।

এদিকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি তাদেরকেই। কায়সার হাসনাত জাতীয় নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালামও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার কায়সার ও কালাম উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। দুজনই দাবি করেছেন এই কমিটির কোন বৈধতা নেই। এটি অবৈধ কমিটি। একই সঙ্গে এই কমিটির নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের প্রতিহতের ঘোষণাও দিয়েছেন। পৃথকভাবে দুটি অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের এই দুই নেতা এমনটাই নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন।

গত ৩০ জুলাই জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে ৮ সদস্যের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন ঘোষণা করা হয়। এরপর সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন কমিটিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী ঘোষণা করে প্রতিবাদ সভা করেছেন।

এরপর গত ২ আগস্ট শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে নবগঠিত সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

এ প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন- নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকলকে হুশিয়ার করে বলেন, গঠনতন্ত্র বিরোধী অবৈধ আহ্বায়ক কমিটির কাউকে কোন এলাকায় কোন সভা সমাবেশ, সংগঠনের কার্যাবলী পালন করতে দেয়া যাবে না। তারা যেখানেই দাঁড়াবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মোশারফ হোসেন। সভায় তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র বিরোধী এ অবৈধ আহ্বায়ক কমিটিকে মেনে নেওয়া হবে না। আমি এই অবৈধ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সহ সকলকে আহবান জানাচ্ছি যে আপনারা সোনারগাঁয়ে ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেত্রীবৃন্দর সাথে বসুন এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি কমিটি করুন। অন্যথায় সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ আপনাদের এই অবৈধ আহ্বায়ক কমিটিকে সোনারগাঁয়ের কোথায়ও কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবেনা।

এদিকে বিশেষ অতিথি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে যে আমাকে সদস্য রাখা হয়েছে, তা আমি প্রত্যাখ্যান করিলাম, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে এ ধরণের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। অতিসত্তর তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নতুন করে আওয়ামীলীগের কমিটি করার জন্য আহবান জানান।

অন্যদিকে এর একদিন পর ৩ আগস্ট শনিবার এক অনুষ্ঠানে কঠোর বক্তব্য রেখেছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে জাতির জনকের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার উদ্ববগঞ্জ এলাকায় আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি কমিটির বিষয়ে বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কোনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়নি। এটা নিছক একটি গুজব। এটার সত্যতা কেউ দিতে পারবেনা, তাই এ কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি নেতাকর্মীদের জানান, আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী ও সাধাণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর ছাড়া একটি কমিটি অনুমোদন হয় কিভাবে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র কি বলে জেনে নেন। কমিটি করতে হলে সম্মেলন করতে হবে। আমি কালাম কোনো পদের জন্য রাজনীতি করিনা। তবে যোগ্য লোকজনকে নিয়েই কমিটি গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, এই আহ্বায়ক কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও ভোগাজ কমিটি। জেলা কমিটির কোনো এখতিয়ার নেই উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার। যারা ভাবেন রাজাকারের বংশধর ও জীবনে রাজনীতি করেনি তাদের দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিচালিত হবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ এতটা দেউলিয়া হয়ে যায়নি। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে আগামী দিনে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। এছাড়া যারা এ ভূয়া আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলেও হুশিয়ারী করে দেন।

এদিকে এবার ২৪ আগস্ট শনিবার সোনারগাঁয়ে বিশাল আয়োজন করছেন কায়সার হাসনাত ও কালাম। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বিশাল সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। প্রতিদিনই সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুতি সভা করে আসছেন। এর আগে কায়সার হাসনাত, মোশারফ হোসেন ও কালাম কোলাকুলি করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ঘোষণা দেন।