সোনারগাঁয়ে গণধর্ষণের শিকার নৃত্যশিল্পী, অভিযুক্ত ৩ জন গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় এক নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ১৯ আগস্ট সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। বাকী দু‘জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান।

অভিযুক্তদের ২০ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিরা সোনারগাঁয়ের সুচারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেল, কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে শফিকুর ইসলাম রনি, ইলিয়াসদী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে সজিব।

অভিযুক্ত অপর দু’জন শাহজাহান মিয়ার ছেলে সানজিদ ও বন্দর উপজেলার পিছকামতাল গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সিয়ামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে দুপুরে একটি কোম্পানির স্টেজ প্রোগ্রামের কথা বলে কনকর্ড ফ্যাক্টরিতে স্বামীকে বসিয়ে রেখে কাশবনের ভেতরে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী। তার একটি নাচের দল রয়েছে। অর্থের বিনিময়ে বিয়ে, সুন্নতে খাতনা, গায়ে হলুদ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করে থাকেন। সোমবারও একটি কোম্পানির স্টেজ প্রোগ্রামে ভুক্তভোগী ওই শিল্পী স্বামী সহ তার নাচের দল নিয়ে আসে।

পরে মাহমুদুল হাসান হিমেল প্রোগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য নৃত্যশিল্পীর স্বামী ও অন্যান্যদের কনকর্ড ফ্যাক্টরীর পরিত্যক্ত আনসার ব্যারাকে বসিয়ে রেখে হিমেলের বাড়িতে ড্রেস পরিবর্তনের কথা বলে নৃত্যশিল্পী ও তার সহযোগী শিল্পী মামুনকে কাঁশবনের ভেতরে নিয়ে যায়।

এ সময় কাঁশবনের ভেতরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শফিকুর ইসলাম রনি, সজিব, সানজিদ, সিয়াম সহযোগী শিল্পী মামুনকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আটক করে নৃত্যশিল্পীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে সহযোগী শিল্পী মামুনের সহযোগীতায় বাইরে এসে ভুক্তভোগী তার স্বামীকে বিস্তারিত জানায়। পরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই ভুক্তভোগী সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় রাতেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।