ফতুল্লায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামীরও আত্মহত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী পলি আক্তারকে (২৮) বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী জামাল হোসেনও (৩৫) বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন।

৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় মোশারফ হোসেন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে দুপুরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত স্ত্রী পলি আক্তার পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ থানার ময়দশ্রীনগর এলাকার শাহজাহান শিকদারের মেয়ে এবং নিহত জামাল হোসেন একই উপজেলার সুবিদখালীর সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

নিহত পলি আক্তার ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর ফকির এ্যাপারেলসের শ্রমিক ও জামাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় চা বিক্রেতা। তারা সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন।

নিহতের ছোট ভাই মাঈনুল ইসলাম জানান, তার বড় বোন পলির আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে একটি ৯ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। তার নাম শাহাজাদা। আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে মামাতো ভাই জামালকে বিয়ে করে পলি।

তারা স্বামী স্ত্রী ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় মোশারফ হোসেন মিয়ার টিনসেটে ঘরে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন। সোমবার রাতে তাদের রুমে দেখতে পায় তার বোন পলি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। আর বোন জামাই জামাল হোসেনের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। পরে তাদের দুইজনকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পলিকে মৃত ঘোষণা করে ও জামালকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার চিকিৎসক জামালকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এমন ঘটনা ঘটলো সঠিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে স্বামী জামাল হোসেন তার স্ত্রী পলিকে বটি দিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে মুখে আঘাত করে হত্যা করে। লাঠির আঘাতে পলির ৮/১০ দাত ভেঙ্গে যায় এবং মাথার কুপে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে রাতেই স্বজনরা তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে উভয়ে মৃত্যুবরণ করে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। আর নিহতের স্বজনদের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।