ফতুল্লার সিদ্দিক হত্যা মামলার আসামি সালাউদ্দিন সালু গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার সিদ্দিক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় হত্যাকান্ডের মিশনে থাকা আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্করের আদালতের দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে নাম বলে যাওয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সালুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৮ জুলাই সোমবার সকালে ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিন সালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন সালু ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সফর আলীর ছেলে।

এর আগে সিদ্দিক মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আবু বক্কর, বিপ্লব ও মুজাকে। তাদের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়াকে হত্যা করা দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সিদ্দিক মিয়া হত্যাকান্ডের বিষয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তদন্ত করে ইতিপূর্বে একে একে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে আবু বক্কর নামে একজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। আবু বক্করের দেয়া জবানবন্দি মূলে মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক সহ ৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি জি.আর মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। আর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সালাউদ্দিন সালুকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

তিনি আরো জানান, সিদ্দিক মিয়া হত্যাকান্ডে যারাই জড়িত রয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ১৩ জুন বিকেলে ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শহিদ মিয়ার বাড়িতে বসবাসরত সিদ্দিক মিয়ার রুমে আবু বক্কর সহ ৮ থেকে ৯ জন মাদকসেবী ইয়াবা সেবন করতে বসে। এ সময় সবাই ইয়াবা সেবন করছে কিন্তু সিদ্দিক মিয়াকে কেউ সেবন করতে দিচ্ছেনা। এতে সিদ্দিক মিয়া উত্তেজিত হয়ে উঠলে অন্যরা তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ৮ থেকে ৯ জন মিলে সিদ্দিক মিয়াকে মারধর করে বুকে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে হত্যা শেষে বাড়ির পাশের জমির কাশবন ভিতরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সেখানে ফেলে চলে যায়। নিহত সিদ্দিক ফতুল্লার দেওভোগ মুন্সীবাড়ি এলাকার মৃত ফজর আলী মুন্সীর ছেলে। তিনি তার পরিবার নিয়ে ভাতিজা শহিদের বাড়িতে বসবাস করে।