লিটনকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে অপপ্রচারের অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ক্ষুন্ন করতে একটি মহল নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লীপ্ত হচ্ছে এবং নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে লিটনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে স্থানীয় একটি চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। তাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করতে না পেরে সংবাদ মাধ্যমকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে সম্মান ক্ষুন্ন করার অপ-চেষ্টা করছে। এমন অভিযোগ ফরিদ আহম্মেদ লিটনসহ তার রাজনৈতিক কর্মীদের।

এদিকে গত ৮/১০ বছর পূর্বে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে ফরিদ আহম্মেদ লিটনকে মাদক ও চাঁদাবাজদের শেল্টার দাতা হিসাবে আখ্যায়িত করে একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় একটি বিশেষ চক্রের ধারা প্রবাহিত হয়ে উক্ত অনলাইন পোর্টালে এ ধরনের অবাস্তব গল্প কাহিনী লিখে সংবাদ প্রকাশ করা হয় বলে লিটনের সমর্থকরা এমনটাই অভিযোগ করেন। আর এ ধরনের সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরিদ আহম্মেদ লিটন।

এলাকাবাসীর তথ্যমতে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন যেমন রাজনৈতিক ভাবে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজিসহ কোন ধরনের প্রভাব খাটনোর অভিযোগ নাই তার বিরুদ্ধে। সকলের সাথে ভাল আচরণ করেন এবং অসহায় গরীবদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করেন। এমনকি স্কুল মসজিদসহ সামাজিক কর্মকান্ডে তার সুনাম রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় নামধারী বিশেষ পেশার লোকসহ একটি বিশেষ চক্র লিটনের এতো সুনাম দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা ভাবে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। লিটনকে নিয়ে যে ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে তার কোন প্রমান দেখাতে পারবে না। তাই অপপ্রচারকারীদের সাবধান করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ফরিদ আহম্মেদ লিটনের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, স্থানীয় একটি বিশেষ চক্র ও বিশেষ পেশার ব্যক্তির ধারা প্রবাহিত হয়ে একটি অনলাইন পোর্টালে অবাস্তব গল্প কাহিনী বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দেয়। উক্ত অনলাইন পোর্টালের কর্তৃপক্ষ কোন কিছু যাচাই বাচাই না করে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে সংবাদ প্রকাশ করে দিয়েছে। যার কোন ১ভাগ সত্যতা নাই। এ ধরনের সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ রইল আমার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের এবং শেল্টারের অভিযোগ পেয়ে থাকেন তাহলে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে কখনো প্রতিবাদ করবো না।

তিনি আরও জানান, সংবাদে দুই ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে তাদের শেল্টারদাতা হিসাবে আমাকে আখ্যায়িত করেছে উক্ত দুই ব্যক্তি গত ৮/১০ বছর আগে মারা যায়। যেমন মজিবুর রহমানকে মাদক ব্যবসায়ী বলা হয়েছে। এই ব্যক্তি প্রায় ৮/১০ বছর আগে মারা যায়। আর তার এক বছর আগে হালিমা বেগম মারা যায়। তাদের দুইজনকে মাদক ব্যবসায়ী বানানো হয়। আর আমার ভাগিনা মাষ্টার্সের ছাত্র। তাকে মাদক ব্যবসায়ী বানানো হয়েছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোন থানায় একটি জিডি কিংবা মামলা দেখাতে পারবে না। এমনকি কোন মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের জন্য থানায় কোন সুপারিশ করিনি। তাহলে কেন আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কোন উদ্দেশ্যে কিসের আসায়। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার দাবি করেছেন তিনি।