সোনারগাঁয়ে দুই ভূয়া ডাক্তার র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে দুই ভূয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। ১ জুলাই সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জামিরখান কমপ্লেক্সের নিচ তলায় ‘কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার মোঃ সোলায়মান মোল্লা, উৎপল কুমার রায় এবং হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আরিফুজ্জামান ওরফে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২ জুলাই মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাবের অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান, র‌্যাব-১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে ১ জুলাই রাতে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জামিরখান কমপ্লেক্সের এর নিচ তলায় ‘কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ রোগী দেখার সময় ভূয়া ডাক্তার মোঃ সোলায়মান মোল্লা, উৎপল কুমার রায় এবং হাসপাতালের এমডি মোঃ আরিফুজ্জামান ওরফে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, এক্স-রে রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায় জানায়, মোঃ সোলায়মান মোল্লার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোপালপুর এলাকা, উৎপল কুমার রায়ের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম বাজার এলাকা এবং হাসপাতালের এমডি মোঃ আরিফুজ্জামান ওরফে লিটনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার জাংগাল বারপাড়া এলাকা। মোঃ সোলায়মান মোল্লা ও উৎপল কুমার রায় মূলত ম্যাটস থেকে মেডিকেল এসিসট্যান্ট কোর্স করেছে। তারা ২জন দীর্ঘদিন নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ‘কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের নথিপত্র দেখে জানা যায় মোঃ সোলায়মান মোল্লা ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ও উৎপল কুমার রায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে রোগী দেখে রোগীদের বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকে। উক্ত হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনের অনুমতি না থাকার পরও ঝুকিপূর্ণভাবে এক্স-রে মেশিন পরিচালনা করে আসছে।

এ ছাড়াও হাসপাতালের এমডি মোঃ আরিফুজ্জামান ওরফে লিটন ও তারা পরষ্পর যোগসাজসে রোগী দেখে বিভিন্ন প্রকার অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। তাছাড়া এক বছর পূর্বে এই অনিয়মের কারণে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করেছিল।