নৌ বিহারে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন সালাউদ্দীন মোল্লা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও যুবদলের রাজনীতিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কৌশলি এক কর্মসূচি নিয়ে দলের ভিতর থেকেই নিন্দুকদের তথ্যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা সালাউদ্দীন মোল্লা। তিনি সেই সব নিন্দুকদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন।

সালাউদ্দীন মোল্লা লিখেছেন, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলকে এক সাথে করার কৌশল হিসেবে গত ২৯ জুন শনিবার আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনীর নামে নদী পথে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। (যেহেতু সরকারের রোষানলের কারনে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতারাও চার দেয়ালের ভিতরে ছাড়া কোন ধরণের অনুষ্ঠান করতে পারেননা।) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশনন্দী ফেরীঘাট থেকে রওয়ানা হয়ে মেঘনা নদীতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত আলোচনা চলে। যোহরের নামাজ ও খাবারের জন্য ১টা হইতে ২.৩০মিনিট পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হয়।

তিনি আরও লিখেন, অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল ও জাসাসের নেতাকর্মী সহ আড়াইহাজার উপজেলা, পৌর ও গোপালদী পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক, জাসাস ও ছাত্রদলের তৃণমূলের ত্যাগী, নির্যাতিত নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে নিজেদের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন। যুবদলকে শক্তিশালী করতে পরামর্শ দেন। নেতাকর্মীরা উচ্চবিলাশী নেতাদের গ্রুপিং ছেড়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আনন্দোলে এক হওয়ার আহবান জানান।

তিনি বলেন, সবশেষে গণতন্ত্রের মা জননী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। যারা বসের সন্তুষ্টি লাভের আশায় তৃণমূলের একত্রিত হওয়াকে নিউজ নারায়ণগঞ্জের শিরোনামে ভুড়িভোজ আখ্যায়িত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলকে জড়িয়ে খবর প্রকাশ করেছেন। আমি তৃণমূলের একজন নির্যাতিত কর্মী হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আগামী দিনে এই ধরণের ভিক্তিহীন খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করছি। বিনীতভাবে বলছি যাদের উৎসাহে শিরোনাম করেছেন তাদের নেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখছি? চার দেওয়ালের মাঝখানে, বাড়ির আাঙ্গিনায় দলের নামে নিজের ব্যক্তিগত কর্মচারীদের নিয়ে তেহরী, পোলাও মাংস খাওয়া ভুড়িভোজ হয় কিনা? আর তাদের বলেন তৃণমলকে একত্রিত করতে। যারা অতি উৎসাহী হয়ে মন্তব্য করছেন তাদের অনেকেই বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দালালী করেছেন। এর যথেষ্ট প্রমাণ তৃণমূলের কাছে রয়েছে। তারাই আবার মাঠে দলের কাজ না যুবদলের নেতাদের বাসায় পদের জন্য ধর্ণা দেন। জেলা যুবদলের উচিত তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া। বর্তমান জেলা যুবদল যথেষ্ট সাহসিকতার সাথে দলীয় কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূলের আবেগ জড়ানো বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শোনার জন্য তৃণমূলের হয়ে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।