আড়াইহাজারে মাদক উদ্ধার নিয়ে পুুলিশের লুকোচুরি, আসামি গেল কই?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে পুুলিশ দিনভর স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে রীতিমত চোর পুলিশ খেলা খেলেছেন। বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করেও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রফাদফার চেষ্টা চালিয়েছিল পুলিশ। যে কারনে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাদকের বিষয়ে কোন তথ্য প্রদান করতে চায়নি পুলিশ। দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার যখন মাদক উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেন তখন সাংবাদিকদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। দিন শেষে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার দেখানো হলেও গাঁজা উদ্ধারের সময় একজনকে থানায় গ্রেপ্তার করে নেয়া হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে দাবি করেছে পুুলিশ। ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হলো কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে এখন আসামি গেল কই?

স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, আড়াইহাজারে ১৯ জুন বুধবার পুলিশ দিনভর বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধারের তথ্য গোপন করে বিকেলে তথ্য প্রকাশ করে। তবে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি সাংবাদিকেরা জেনে যাওয়ার কারনেই দিন শেষে তা স্বীকার করে পুলিশ।

এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ কি কারণে সাংবাদিকদের কাছে গোপন রাখলো? এর পেছনে কারণ কি ছিল? বিকেলে পুলিশ তথ্য প্রকাশ করলো কেন? এ নিয়ে সর্ব মহলেই চলছে নানা গুঞ্জন। বিকেলে এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা থাকলে তাও করা হয়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে গাজাঁ উদ্ধার করার সময় একজন ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীতে গাঁজা উদ্ধার দেখানো হয় পরিত্যাক্ত!

এদিকে সকাল বেলায় ডিউটি অফিসার পর্যন্ত মাদক উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করে। মাদক উদ্ধার হয়েছে এমন ঘঁনাই ঘটেনি বলে দাবি ডিউটি অফিসার। অথচ যে কোন আসামি গ্রেপ্তার কিংবা উদ্ধার করা হলে ডায়েরী করেন ডিউটি অফিসার।

তবে দিন শেষে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের ফেলে যাওয়া (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-০৫৯৩) নম্বরের কালো রঙয়ের একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বিশ্বনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা এলাকায় আড়াইহাজার-বিশ্বনন্দী সড়ক থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে গোপালদী পুলিশ তদৗল্প কেন্দ্রের ইনর্চাজ নাসির আহম্মেদ বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁজা ও তাদের বহনকৃত কালো রঙয়ের একটি প্রাইভেটকার ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

একই দিনে ২২১ ক্যান বিয়ারসহ শহিদুল্যাহ (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সে স্থানীয় কাকাইলমোড়া এলাকার জামালউদ্দিনের ছেলে। পুলিশের জিজ্ঞাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে জৈনক জামাল মিয়ার ঘরে তল্লাশি করে ক্যানগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।