বোলারকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ব্যাটসম্যানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বোলারের বলে আউট হয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু তা মানতে রাজি নয়। এ নিয়ে বোলার ও ব্যাটসম্যান জড়িয়ে যায় তর্কে। উইকেটের মাঝেই তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ব্যাটসম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করে বোলারের মাথায়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বোলার। পরবর্তীতে বোলারের স্ত্রী বাদী হয়ে সেই ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করেন হত্যা মামলা। সেই মামলায় আদালত ব্যাটসম্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এমনি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায়।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে হত্যা মামলার রায়ে আসামি শ্যামল মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। এ মামলার রায়ে আসামিকে আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত।

১৯ জুন বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহ মোহাম্মদ জাকির হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামি শ্যামল মোল্লা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বারোআনী মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম জানান, আড়াইহাজার থানার একটি হত্যা মামলার রায়ে আসামি শ্যামল মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- দেন আদালত। এ মামলায় ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার ঘটনা সূত্রে তিনি জানান, ২০১১ সালের ২৬মার্চ আড়াইহাজার উপজেলার বারোআনী মধ্যপাড়া এলাকার একটি মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের ক্রিকেট বলে শ্যামল মোল্লা আউট হয়ে যায়। কিন্তু শ্যামল মোল্লা এতে মানতে রাজি নয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের সৃষ্টির একপর্যায়ে শ্যামল মোল্লা তার হাতে থাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আনোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাত করে।

পরে আনোয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ২৮ মার্চ নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হাওয়া বেগম বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ৮ বছর পর আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।