সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে তথা নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার প্রাপ্তি ঘটেছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। এই আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত হয়েছেন বিএনপি নেতা শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, যাকে সবাই মডেল মাসুদ হিসেবে অবহিত করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের পূর্বে থেকেই মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন। মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বের দুর্বলতার কারনে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা নেতৃত্বযোগ্য ঠাই খুজতে গিয়ে মাসুদকে রাজনীতির মাঠে নামান। বিএনপিতে যোগদানের পূর্বেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয় নেতাকর্মীরা মাসুদের ছায়াতলে আশ্রয় নেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, মডেল মাসুদ বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাসুদের ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে ভোটের মাঠে নেমে গেছেন। এরি মাঝে মহানগর বিএনপিতে ঘাপ্টি মেরে থাকা বেশকজন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে।
কিন্তু নেতাকর্মীরা বলছেন, এসব ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টাকারীদের ষড়যন্ত্রে তারা নিজেরাই বিলুপ্ত হবে রাজনীতির মাঠ থেকে। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীককে পরাজিত করার শক্তি তাদের নাই। যে কারনে এ নিয়ে বিচলিতও নন নেতাকর্মীরা। তারা এখন ঘরে ঘরে যাচ্ছেন ভোট প্রার্থনায়। যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
যেখানে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু, নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫( সদর-বন্দর) আসনে মো. মাসুদুজ্জামানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তাকে মনোনিত করার আগে থেকেই মাসুদকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সর্দার, ব্যবসায়ী নেতা বদিউজ্জামান বদু, মহানগর বিএনপির সদস্য ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, বিএনপি নেতা ইসমাঈল মাস্টার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা সরকার আলম, জয়নাল আবেদীন, কাজী সোহাগ, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহাবুবুল হাসান জুলহাস সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা।
মডেল মাসুদ মনোনিত হওয়ার পর এর সংখ্যা দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মীতে। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরন, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহমেদ সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেমে গেছেন।
ভিন্ন সূত্র বলছেন, বন্দর উপজেলা পরিষদের গত নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেনের পক্ষে বিএনপির একটি অংশ পেছন থেকে সমর্থন জুগিয়েছিল। বিএনপির ওই অংশটি এবারো মাকসুদকে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রাখার পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। একই সঙ্গে মাসুদের ব্যবসায়ীক কাজে বিভিন্ন দলমতের ব্যক্তিদের সাথে ব্যবসায়ীদের সভায় বিভিন্ন সময়ের ফটোসেশনকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে ওই অংশটির বিরুদ্ধে।
তবে নেতাকর্মীরা বলছেন-এতে কোন কাজ হবে না। কারন নেতাকর্মীরা এও বলছেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যখন যোগ্য নেতত্বশূণ্যতায় ভুগছিল তখন মডেল মাসুদে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিএনপির রাজনীতি।


