জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে কামরুল হাসান রোমেনের শ্রদ্ধাঞ্জলী

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রোমেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাবেক এই তুখোড় ছাত্রদল নেতা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক ছিলেন, যাঁর অবদান জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় আছেন। আমরা তাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি, যিনি দিয়েছিলেন জাতিকে নতুন আশার আলো।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, বগুড়ার এক শান্তিপূর্ণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। ছোটবেলা থেকেই মেধা ও সাহসিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তার শৈশবের প্রতিটি অধ্যায়ে ফুটে উঠেছে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান। যুদ্ধক্ষেত্রে তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে।

স্বাধীনতার পর যখন বাংলাদেশ চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে, তখন জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেন। ১৯৭৫ সালের পর দেশের সঙ্কটময় সময়ে তিনি ছিলেন জাতির কর্ণধার। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণের জন্য রাজনীতি উন্মুক্ত করেন।

১৯৭৮ সালে, দেশের মানুষের জন্য নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন, যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

তার ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষি, শিক্ষা, শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান আজও স্মরণীয়।

জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে গঠিত হয় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক), যা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম এনে দেয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করে।

আজ তার ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার নেতৃত্ব, তার স্বপ্ন আমাদের পথ দেখায়। বিএনপি সবসময় তার আদর্শ ধারণ করে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাবে।

শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর নেতৃত্বে জাতি পেয়েছিল একটি স্বাধীন পরিচয়, একটি স্বাধীন স্বপ্ন। তাঁর ত্যাগ ও আদর্শ আমাদের চলার পথে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। আমরা তাঁর দেখানো পথ ধরে এগিয়ে যাবো, একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।