ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আশ্বাসে শান্ত হলো ফকির গার্মেন্টের শ্রমিকেরা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়ন করা হবে বিকেএমইএ এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের এমন আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছে ফকির অ্যাপারেলস এর শ্রমিকেরা। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগদান করবে।
মঙ্গলবার ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত ফকির অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত প্রদান করেন বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান। সেই সাথে তিনি আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ্রমিকেরা যাতে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্য ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারখানাটিতে ছুটি প্রদানের জন্য মালিকপক্ষের কাছে অনুরোধ রেখেছেন তিনি।
ফকির অ্যাপারেলসে উপস্থিত হয়ে এমপি সেলিম ওসমান শ্রমিকদের কাছে মৌখিক ভাবে তাদের অভিযোগ ও দাবীর কথা গুলো শুনেন। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চায়না লাইনে বৃদ্ধি করা বেতন ১০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেন। সেই সাথে যারা উৎপাদন ভিত্তিতে মজুরিতে কাজ করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ফকির অ্যাপারেলস কর্তৃক প্রদত্ত মজুরির সাথে বর্তমান বাজার দর এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রদানকৃত মজুরি যাচাই বাছাই করে আগামী ৭দিনের মধ্যে নতুন করে মজুরি ঠিক করা হবে।
সেই লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার সকাল ৮-১০টা, বৃহস্পতিবার সকাল ৮-১০ এবং বিকেল ৫-৭টা ও  শনিবার সকাল ৮-১০টা পর্যন্ত বিকেএমইএর কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের দাবী দাওয়া ও অভিযোগ লিখিত আকারে জমা নিবেন। শ্রমিকদের লিখিত অভিযোগ ও দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো পর্যবেক্ষন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রদান করা হবে। এতে যদি মালিক পক্ষের কোন প্রকার ঘাটতি থাকে তাহলে অবশ্যই শ্রমিকদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে এবং এটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে বলবৎ থাকবে।
সেই সময় পর্যন্ত শ্রমিকদের শান্ত থাকাতে অনুরোধ করেছেন বিকেএমইএ সভাপতি এমপি সেলিম ওসমান। সেই সাথে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে অনেকেই তাদের বিভ্রান্তমূলক কথা বলে উস্কানি দিতে পারেন বলে আশক্সকা প্রকাশ করে কোন প্রকার উস্কানিতে পা না দিতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান রাখেন। কোন প্রকার সমস্যা হলে সেটি সমাধানে রাস্তায় না নেমে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহবান রাখেন তিনি।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, সোমবারের ঘটনায় পুলিশ যে ১৩জনকে আটক করেছে। তাদের সবাইকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় কোন মামলা মোকাদ্দমা হবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি কেউ কারো উস্কানিতে আবারো এমন ঘটনায় তাহলে পুলিশ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করবে। তখন কিন্তু আমি সেলিম ওসমান বা বিকেএমইএ এর কিছুই করার থাকবে না। তাই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা বহিরাগত কারো কোন উস্কানিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। যে কোন সমস্যা আমাদেরকে লিখিত আকারে অবহিত করবেন। আমরা সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।