ফতুল্লার আওয়ামীলীগ নেতা গেসু ও আজমত সহ ২৩ জনের জামিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াসউদ্দীন ওরফে গেসু ও তার ভাই যুবলীগ নেতা আজমত উল্লাহ সহ একটি সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় ২৩জন আসামি জামিন পেয়েছেন। ৮ মে বুধবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত এর আদালতে আসামিরা উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে ঘটনায় আহতদের বিষয়ে চিকিৎসকের মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল পর্যন্ত আসামিদের এই জামিন দেয়া হয়।

মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন আসামিরা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে জানাগেছে, গত ২২ মার্চ শুক্রবার রাতে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর পর দিন শনিবার বাদী হয়ে গেসু ও আজমত উল্লাহ সহ তার বলয়ের ২৫ জনের নাম উল্ল্যেখ সহ অর্ধশত আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় হামলা ভাংচুুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। গেসু আজমত ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে- মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হৃদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় গিয়াসউদ্দীন ও তার ভাই আজমত উল্লাহ বলয়ের সাথে রামারবাগ এলাকার স্পীডবোট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জের ধরে ২২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম তার বাড়ির সামনে অবস্থান করাকালীন আজমত-গেসুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আজিমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায়।

একপর্যায়ে গেসু-আজমত বাহিনীর লোকজনের হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে। গেসু-আজমত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে মোস্তফা কামাল গ্রুপের লোকজন দৌঁড়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে তাদের হাতে থাকা লাঠিসেটা চাপাতি দিয়ে ওই সব দোকান ও বাড়ি ঘর ভাংচুর চালায়।
মামলায় আরও উল্ল্যেখ করা হয়, আসামিরা চাউলের আড়ৎ, ক্যামিকেলের দোকান ভাংচুর করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া এলাকার সাধারণ লোকজনের শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। এ বাড়িতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের থাকার ৪টি টিনের ঘর কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে লুটে নেয়া হয় আসবাবপত্রসহ টাকা পয়সা। আর সংঘর্ষে আহত হয় আনুমানিক ১৫জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।