ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামী মুক্তা র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের “সবুজবাগে ক্লুলেস হত্যাকা-ে” জড়িত প্রধান আসামী মুক্তা র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০ মে সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব -১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।

তিনি জানান, র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ১৯মে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে ডিএমপি, ঢাকার সবুজবাগ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১১/০৫/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩২৮/৩০২/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ক্লুলেস হত্যা মামলার সাথে জড়িত প্রধান আসামী মুক্তা’কে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা যায় যে, মামলার বাদী একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী তিনি বর্তমানে তাহার বাসার সামনে একটি মুদি দোকানে দোকানদারি করেন। গত ০৮/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ অজ্ঞাতনামা ০২ জন মহিলা উক্ত মামলার বাদী হাজী মোঃ ইউসুফ আলীর ৩য় তলার বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য এসে অজ্ঞাতনামা ০২ জন মহিলা বাসা পছন্দ করে ৭,০০০/-টাকায় বাসার ভাড়া সাব্যস্ত করে হাজী মোঃ ইউসুফ আলীকে অগ্রীম বাসা ভাড়া বাবদ ৫০০/-টাকা দিতে চাইলে তিনি অগ্রীম ৫০০/-টাকা গ্রহণ করে নাই। তখন অজ্ঞাতনামা মহিলাদ্বয় বলে আমরা আগামীকাল অগ্রীম ভাড়া দিয়ে বাসায় উঠব। পরদিন অজ্ঞাতনামা মহিলাদ্বয় ও একজন পুরুষ বিভিন্ন রকমের ফল নিয়ে হাজী মোঃ ইউসুফ আলীর দোকানের সামনে আসে তখন তাহাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতনামা পুরুষ লোকটি তাহার সাথে কথাবার্তা বলে এবং অজ্ঞাতনামা মহিলারা তাহার বাসায় যায়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা পুরুষ লোকটিও তাহার বাসায় যায় এবং কিছুক্ষণ পর তাহার জন্য এক গ্লাস সরবত নিয়ে আসে। তিনি উক্ত সরবত খাবেনা বলে অনিহা প্রকাশ করে।

পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা মহিলাদ্বয় ও পুরুষ লোকটি তাহার বাসা হতে দোকানের সামনে দিয়ে চলে যায়। অজ্ঞাতনামা মহিলাদ্বয় ও পুরুষ লোকটি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তাহার বাসার কাজের মেয়ে তাহার দোকানে এসে তাকে জানায় যে, তাহার স্ত্রী বিছানায় শুয়ে কেমন যেন করছে এবং বাসার সকল মালামাল এলোমেলো হয়ে আছে। তখন তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে দেখে অজ্ঞাতনামা মহিলাদ্বয় ও পুরুষ লোকটি তাহার স্ত্রীকে (ভিকটিম) চেতনা নাশক খাবার খাইয়ে বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুন্ঠিত করে নিয়েছে। তখন দ্রুত ভিকটিমকে চিকিৎকার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গত ১০/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে হাজী মোঃ ইউসুফ আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ডিএমপি, ঢাকার সবুজবাগ থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করে।

এই নৃশংস ক্লুলেস হত্যাকা-ের ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সাথে তাদের সনাক্ত ও অবস্থান নির্ণয় পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ক্লুলেস হত্যাকা-ে জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত প্রধান আসামী মুক্তা (৪১), স্বামী- মোঃ বশির আহম্মেদ, সাং-৮৩২ বাজিতা ফোরথ পার্ট, মাধব খালী, চৈতা পল্লী, থানা-মির্জাগঞ্জ, জেলা-পটুয়াখালী’কে র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী এর যৌথ অভিযানে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১৯/০৫/২০২৪ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ডিএমপি, ঢাকা জেলার সবুজবাগ থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।