জেলাজুড়ে আলোচিত আওয়ামীলীগের তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিক!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তরুণ রাজনৈতিক নেতারাও সামনের সারিতে এগিয়ে আসছেন। পুরো জেলার সাতটি থানা এলাকায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত এমন কয়েক ডজন উদীয়মান নেতা রয়েছেন, যারা ভবিষতে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের রাজনীতির হাল ধরতে পারেন। কেউ কেউ এখনি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেছেন। এদের অনেকেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আলোচিত হয়েছেন। অনেকেই আবার সামনের নির্বাচনেও দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তরুন প্রজন্মের উদীয়মান নেতাদের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ। তিনি মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে অধিষ্ট হয়েছেন। যদিও এর আগেই তিনি জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সহ ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ সহ অসংখ্য সংগঠনের রাজনীতি করেছেন। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। একটি ওয়ার্ডের সভাপতি নির্বাচিত হলেও তার পদটি পাওয়াটিই ছিলো আলোচিত বিষয়, কারন তিনি আগে থেকেই রাঘববোয়ালদের বিরোধীতায় ছিলেন। ফলে তিনি পুরো মহানগর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতেই আলোচিত।

এদিকে হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও ষড়যন্ত্রের কারনে হেরে যান। সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হকের অসামাজিক কার্যক্রমের সময় তাকে ধরতে তিনিই ছিলেন অগ্রভাগে। সোনারগাঁয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত রাজনীতিক হয়ে ওঠছেন তরুণ বয়সেই। ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে তার ভুমিকা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদালাপী সদা হাস্যোহজ্জল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভুঁইয়া। আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ, আপ্যায়ণ সম্পাদক,আইন সম্পাদক সহ একাধিকবার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে তিনি জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি ও রূপগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতিও তিনি। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে তার রূপগঞ্জে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সায়েম আহমেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জেলাজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠেন। কারন ওই ইউনিয়নে প্রথমে নৌকা প্রতীক দেয়া হয় মতিউর রহমান মতিকে। মতির অবস্থা যখন সায়েমের কাছে ধরাশয়ী হওয়ার পথে তখন মতি নির্বাচনে থেকে সরে যান এবং দ্বিতীয় দফায় জাকির হোসেনের জন্য নৌকা প্রতীক আনা হয়। ওই নির্বাচনে প্রতাপশালী প্রভাবশালী দুই এমপি জাকির হোসেনকে সমর্থন দিয়ে বিজয়ী করে নিয়ে যান।

একই অবস্থা আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নে। চেয়ারম্যান পদে ব্যাপক আলোচিত ছিলেন জুনায়েদ আহমেদ প্রিন্স। কিন্তু রাজনৈতিক কারনে সেখানে তৎকালীন জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার ভাই আলী হোসাইনকে মনোনিত করা হয়। তবে নির্বাচন থেকে প্রিন্স সরে দাঁড়ালেও তাকে হাইজাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়।

এবার আড়াইহাজারে নতুন করে আলোচনায় মনিরুজ্জামান মনির মোল্লা। তিনি উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বেশ আলোচনায় আছেন তিনি। তিনি উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তরুণ প্রজন্মের এই নেতা নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।