মহানগর যুবদলে যোগ্যরা বিতাড়িত, ত্যাগীদের অবজ্ঞা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আন্দোলন সংগ্রামের রাজনীতিতে কতটা সফল কিংবা ব্যর্থ সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে মাত্র তিন সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটির কার্যক্রমে। যেসব নেতারা দীর্ঘদিন যাবত মহানগর যুবদলের রাজনীতি করে হামলা মামলা জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন কিংবা যেসব নেতাদের নেতৃত্ব দেয়ার মত সাংগঠনিক যোগ্যতা রয়েছে সেইসব নেতাদেরকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, ত্যাগী নেতাদের করা হয়েছে অবজ্ঞা। যার ফল স্বরূপ আন্দোলন সংগ্রামের যে দশা হওয়া স্বাভাবিক সেটাই হয়েছে। মুলদল বিএনপি থেকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক এবং ছাত্রদল থেকে সদস্য সচিব পদে ঠেঁসে বসানো হয়েছে কারো কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে। অথচ এদের বহু আগে থেকেই যারা যুবদলের রাজনীতি করে আসছেন তাদের অস্তিত্ব নেই মহানগর যুবদলে।

ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের হাল ধরেন প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলম ও মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করেন। জাহাঙ্গীর আলমের পর সভাপতির পদে আসেন খোরশেদ। পরবর্তী আহ্বায়ক কমিটিতে খোরশেদ আহ্বায়ক ও সানোয়ার হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রাজনীতিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়। তাদের আমলে নারায়ণগঞ্জ মন্ডলপাড়ায় যুবদলের বিভাগীয় সমাবেশ করা হয়। বিএনপির যেকোনো অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যে মহানগর যুবদল ছিলো শক্তিশালী একটি সংগঠন।

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের শক্তিশালী বৃহত্তর বলয়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন নেতৃত্বের বাহিরে। যারা পদ পদবী কিংবা কমিটিতে না থেকেও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের একাংশের ব্যানারে হয়েও আন্দোলন সংগ্রাম ও দলীয কর্মসূচিগুলো পালন করে আসছেন। এদের মধ্যে অন্যতম মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশী মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মনোয়ার হোসেন শোখন, রানা মুজিব, জুয়েল রানা, জুয়েল প্রধান, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মনিরুল ইসলাম মনু, শহিদুল ইসলাম রিপন, আমির হোসেন, আহম্মদ আলী, শেখ মোহাম্মদ অপু, আল আমিন খান, আলী নওশাদ তুষার, কাজী সোহাগ, নজরুল ইসলামদের মত বহু ত্যাগী ও পরীক্ষিত যুবদলের নেতা।

যারা এই সরকারের আমলে যুবদলে শ্রম দিয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। যারা এক সময় নগরীতে না নামলে রাজপথে আন্দোলনই জমে ওঠতো না, আজকে এইসব নেতারাই নেই যুবদলের নেতৃত্বে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কুক্ষিগত করে আনাড়ি ধাচের লোকজনদের দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দাবি। যে কারনে এসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বের বাহিরে রাখা হয়েছে। কর্মীদের দাবি- নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলকে পূর্বের মত শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে হলে এখনই সময় নতুন করে ত্যাগীদের হাতে নেতৃত্বে তুলে দেয়া।