সাংগঠনিক নেতারা নেতৃত্বের বাহিরে: বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যেসব নেতারা সাংগঠনিকভাবে এবং স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী সংগঠক সেইসব নেতারাই রয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বের বাহিরে। বিএনপির রাজনীতিতে যেসব নেতাদের তিন চার যুগের ইতিহাস রয়েছে সেইসব নেতাদের মাইনাস করে রাখায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা। এরি মাঝে যেসব নেতাদেরকেই মানুষ চিনতেন বিএনপি নামে সেইসব নেতাদের করা হয়েছে বহিষ্কার। বিএনপি ধ্বংসের যাবতীয় কাজটি খোদ বিএনপির কেন্দ্রীয় ক’জন নেতা বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠুকনো অভিযোগ তুলে- মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুুকুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান খানকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। মুলত এদেরকে বহিস্কার করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে তুলেমুলে বিনাশের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এমন অযাচিত সিদ্ধান্তে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রাজনীতিতে অন্যতম সাংগঠনিক শক্তিশালী নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে রাখা হয়েছে পদশূন্য। তিনি মহানগর যুবদলের একাধিকবারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এরি মাঝে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে রাখা হলেও তিনি পদ থেকে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়ে যুবদলের নেতৃত্বে দিয়ে আসছিলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর প্রতিটা এলাকায় খোরশেদের বিপুল পরিমান নেতাকর্মী রয়েছে যারা এখনো খোরশেদের নেতৃত্বের প্রত্যাশা করে খোরশেদের সাথেই রাজনীতি করছেন। খোরশেদ নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ডের ৪ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর।

এ ছাড়াও মহানগর বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার আশা। তিনি নাসিকের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরও। তার পিতা আবুল কালাম বিএনপির সাবেক তিন বারের এমপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা হাজী জালালউদ্দীনের নাতি এই আবুল কাউশার আশা। অথচ তাকেও নেতৃত্বের বাহিরে রাখা হয়েছে। যদিও তাকে মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হলেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

এ ছাড়াও নেতৃত্বের বাহিরে মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল উদ্দীন মজনু, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নূরউদ্দীন হাজী, বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেন, নুরুল হক চৌধুরী দিপু, ফারুক হোসেন সহ বিএনপির আরও অনেক সাংগঠনিক নেতাদের নেতৃত্বের বাহিরে রাখা হয়েছে। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর প্রাণ বিএনপির যুবদল সংগঠন, সেই যুবদলের নেতৃত্বের বাহিরে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, রানা মুজিব, দিদার খন্দকার, শহিদুল ইসলাম রিপনের মত বহু নেতাকর্মী।