নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা জনগণের নৈতিক দায়িত্ব: আনন্দধাম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আনন্দধামের উদ্যোগে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী পালিত “The World Day of Remembrance for Road Traffic Victims 2023” উপলক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরনে ও এই প্রকার দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গণসচেনতা বৃদ্ধির লক্ষে “সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও জনগণের জান মাল সুরক্ষায় রাস্ট্র, নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য“- শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে স্থানীয় ইডেন থাই এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ভার্চ্যুয়ালী উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের চেয়ারম্যান তানভীর হায়দার খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম বিপ্লবী সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেতা জনাব মীর সাব্বির।

আনন্দধামের মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট শেখ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু শ্যামল দত্ত, শাহরিয়ার মো: মারুফ, আনন্দধামের পরিচালক সর্বজনাব খোকন গাজী, এনামুল হক প্রিন্স, আশরাফুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।

মুখ্য আলোচক তানভীর হায়দার খান তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশে ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ও ১০ হাজারের উপর মানুষ পুঙ্গুত্ব বরন করেছে। তার উপর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে দুস্কৃতিকারী কর্তৃক যেভাবে যানবাহনে আগুন দিয়ে জনসাধারণের জান ও মালের যে ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, তাতে মানুষের জীবন আজ সংকটপুর্ন হয়ে গেছে। আমি মনে করি অগ্নি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা বিধান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি যানবাহন ও রাস্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ জনগণের নৈতিক দায়িত্ব।

বিশিষ্ট অভিনেতা মীর সাব্বির তার বক্তব্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরনে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন আমাদের সামান্য সতর্কতার অভাবে প্রতি বৎসর কয়েক লক্ষ্য মানুষ প্রান হারাচ্ছে ও বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি ইসমত কাদির গামা বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করবো মানুষের জীবনকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে। সরকার যেন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে অপামর জনগণকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে আরো অধিকতর সচেতন করে তুলে। বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়।
অনুষ্ঠানে আনন্দধামের তরফ থেকে বক্তারা বলেন, আনন্দধাম মনে করে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা সমাজের নৈতিক দায়িত্ব।

সভার পুর্বে আনন্দধামের পক্ষ থেকে হাসিনা রহমান সিমুর নেতৃত্বে শহরে র‍্যালী করা হয়। র‍্যালী সমাবেশে আনন্দধামের তরফ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয় যেন সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করে সবার মতামতের ভিত্তিতে আরো অধিকতর গতিশীলতার সাথে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।