খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব: সাখাওয়াত হোসেন খান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে মে দিবস পালনে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিশাল শোডাউনে র‌্যালী করেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা মহানগর বিএনপির বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

র‌্যালীর পূর্ব সমাবেশে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের অধিকার নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। দেশে আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। আজকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দমনের মাধ্যমে এ দেশের রাজনীতি শূণ্য করার চেষ্টা চলছে। নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে। ভিন্নমতকে প্রকাশ করতে দেয়া হচ্ছেনা।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশের মানুষ একটি দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে। আমি ্এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই বিএনপি হলো জনগণের দল। বিএনপি কোন নেতা নির্ভর দল নয়। বিএনপির গোড়া হচ্ছে এ দেশের আপামর জনগণ। এই জনগণ সব সময় বিএনপিকে জাগ্রত করেছে। বিএনপিকে এই জনগণই সামনে এগিয়ে নিয়েছে। আগামীতে এই বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন সকল ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ করে দিয়ে এদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে এবং এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।

সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে জেল হাজতে রাখা হয়েছে। আমরা এই সমাবেশে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। এদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করব। সারাদেশে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, জেল হাজতে ভরা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া সহ সকল নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি। সেই সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে মামলা সহ নারায়ণগঞ্জের যে সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সকল মামলা প্রত্যাহার দাবি জানাই।

একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মামলা প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বিশেষ করে জাকির খানের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

ওই সভায় বিশাল এই র‌্যালী ও সমাবেশ আয়োজনে যেসব শ্রমিকদলের নেতারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান ও সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন সহ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

এর আগে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শ্রমিকের মজুরীর দাবি আদায়ের প্রতীক হিসেবে শতশত বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে এই মে দিবস। আজকে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত জনগণের দাবি মানতে বাধ্য।

১ মে বুধবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ শ্রমিকদলের ব্যানারে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে এই র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মৎস্যজীবী দল, মহিলা দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ছাড়াও জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরাও এই র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।

র‌্যালীটি ডিআইটি বানিজ্যিক এলাকা ঘুরে পূণরায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালীর পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাখাওয়াত হোসেন খান। ওই সমাবেশে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। পরে র‌্যালীতে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন। এসময় নেতাকর্মীদের মুহুর্হ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শহরের প্রধান এই সড়কটি। এতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান তুলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে মে দিবসের এই বিশাল র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উদ্দীন আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, হাজী গোলজার হোসেন খান, হাবিবুর রহমান দুলাল, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার হোসেন প্রধান, আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দীন শিশির, রোমান হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দীন মোল্লা, ঢাকা গুলশানা থানা যুবদল সভাপতি শরিফ উদ্দীন আহাম্মদ মামুন, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, পরিবহন শ্রমিকদল নেতা ফরিদ হোসেন, শহীদ হোসেন, ফারুক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আফজাল কবির, স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, নুরুল ইসলাম লাভলু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হেসেন খান, শাহিন আহমেদ, আরিফুজ্জামান ইমন, তসলিম উদ্দীন লিটন, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু, লিংরাজ খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লিংকন খান, বন্দর থানা শ্রমিকদল সভাপতি বাবুল হোসেন, জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন মেম্বার, পরিবহন শ্রমিকদল নেতা বাদশা মিয়া, যুবদল নেতা মোহাম্মদ রুমি, সহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে নবু হোসেন, সজিব খন্দকার, ফারুক হোসেন, বোর জাহান, জাহিদ খন্দকার, ্ইকবাল হোসেন, আল আমিন, জাহিদ হাসান পাপ্পু, হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল, মঞ্জুরুল হক মুছা, ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেন, সাঈদ আহমেদ, অপু রহমান, বোরহান উদ্দীন ব্যাপারী, জুয়েল হোসেন, কাজী খোকন, রাসেল রানা ও মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।