শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে প্রশাসনের সঙ্গে পূজা পরিষদের প্রস্তুতি সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২অক্টোবর) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। কোনো অবস্থাতেই গুজব বা উস্কানি মুলক কিছুতে কান দিবেন না। আর যদি করেই ফেলে তাহলে তৎক্ষনাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করুন।

তিনি আরও বলেন, আজকাল যা কিছুই ঘটুক, ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে সেটাকে উপস্থাপন করে একটি সমস্যা সৃষ্টি করা হয়। এই জন্য আমাদের সাবধান থাকা দরকার। দুর্গাপূজা পালনকালে সকল পূজা মন্ডপে নিজস্ব ভলান্টিয়ার নিয়োগ রাখতে হবে। বিশেষ করে রাতের বেলায় পাহারা দিতে হবে। কারণ একটা অনিশ্চয়তা থাকে কিছু দুস্কৃতিকারী কিছু করার চেষ্টা করে। যদি আমরা নিজেরা একটু সচেতন থাকি এবং পাহারা দেই তাহলে ওই দুস্কৃতিকারীরা কোন কিছুই ঘটাতে পারবে না।

সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, এবছর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের ২২৪ পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সবাইকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিনিধিরা তাদের মন্দিরে পূজা উদযাপন করার সময়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। আমরা সেগুলো চিহ্নিত করে আজকের সভায় তুলে ধরেছি।

তিনি আরো বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আমরা নারায়ণগঞ্জে সকল ধর্ম মতের মানুষ একসাথে মিলেমিশে বসবাস করি, বিভিন্ন উৎসব পার্বণে একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করি। অসম্প্রদায়ীক চেতনার এই ধারাবাহিকতায় আমরা মুসলমান সম্প্রদায়ের পবিত্র মাহে রমজান ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব একই সঙ্গে উদযাপন করেছি। তাই আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবেও নারায়ণগঞ্জের সকলে একসাথে মিলেমিশে আনন্দ করবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি, জেলা পরিষদের সিইও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিফাত ফেরদৌস, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত এ খুদা, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল-ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ, র্যাব -১১ এর এএসপি মোশারফ হোসেন, প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, নারায়ণগঞ্জ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টিস পরিতোষ কান্তি সাহা,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ মন্ডল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, জেলা পূজা পরিষদ নেতা সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের শংকর দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সোনারগাঁ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদীপ ভৌমিক, রূপগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গনেশ পাল, আড়াইহাজার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হারাধন চন্দ্র দে, পূজা পরিষদ নেতা গনেশ সাহা, হিমাদ্রী সাহা হিমু, শংকর কুমার দাস, তপন গোপ সাধু, কৃষ্ণ আচার্য, তপন দে, দুলাল দাস, রিপন রুদ্র, পংকজ রায়, বিধু হালদার, সুজন বিশ্বাস, অভিরাজ সেন, বিক্রম দাস, তিলোত্তমা দাস, চঞ্চলা বর্মনসহ বিভিন্ন পূজা মন্দিরের নেতৃবৃন্দ।