আল জয়নাল ও কাউন্সিল বাবুর বিরুদ্ধে আরও মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত জাতীয় পার্টির নেতা জয়নাল আবেদীন ওরফে আল জয়নাল ও কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুুর বিরুদ্ধে আরও পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

জানাগেছে, মঙ্গলবার ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে কারাগারে থাকা আল জয়নালের বিরুদ্ধে আরেকটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আল জয়নাল ছাড়াও আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়। নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে এস এম মালেহ রোডের বাসিন্দা আহমেদ জুবায়ের বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
গত ২৩এপ্রিল কালীরবাজারে ২২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আল জয়নালকে। কালীরবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি রহমতউল্লাহ ফারুক বাদী হয়ে সদর থানায় ওই মামলার দায়ের করেন। ওই মামলায় জয়নালের ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত তা না মঞ্জুর করেন।

এামলায় অভিযোগ করা হয়- গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে গলাচিপার আল্লামা ইকবাল রোডের আহমেদ জুবায়েরের নির্মানাধীন বাড়িতে আল জয়নাল সহ আসামিরা প্রবেশ করে। এসময় জুবায়েরের নিকট ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে মারধর করে এবং নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করে। এছাড়া বাদীর নিকট থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা এবং আশেপাশের থেকে ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় আসামিরা টাকা প্রদানের জন্য ১০ দিনের সময় দিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

অন্যদিকে চাঁদাবাজি মামলায় নারায়ণগঞ্জ কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে বাবুর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ এনে ২৯ এপ্রিল রাতে তাঁরই এলাকার বাসিন্দা বারেক মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দাবি করা হয়, কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু দীর্ঘদিন বারেক মিয়ার জায়গা অবৈধভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে দখল করে রেখেছিলেন।
এর আগে ১৮এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দায় হাসান নামের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।

এর আগে আবদুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। গত ২১ এপ্রিল ফতুল্লার উত্তর মাসদাইর এলাকার মো: নজরুল ইসলামের ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম কুসুম ও পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন পৃথক অভিযোগে এই দুইটি মামলা দায়ের করেন।