না’গঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতার দাবি ‘আমি দুলারীকে ভালোবাসি’!

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিবাহিত এক স্কুলশিক্ষিকাকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে ওই শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সভা শেষে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইব্রাহিম জানান, ‘কয়েক দিন ধরে আমাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এক শিক্ষিকাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে ঘুরতে যান। বিষয়টি এলাকাবাসী খারাপ দৃষ্টিতে নিয়েছে এবং মিছিল সহকারে স্কুলে এসে আমাদের কাছে বিচার দাবি করেছে। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি, তারা উভয়েই বিবাহিত এবং স্বামী-স্ত্রী রেখে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা দীর্ঘসময় সভা করে দুজনের বিষয় পৃথক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। স্কুলের সুনাম রক্ষার্থে সভাপতির পদ থেকে মান্নানকে অব্যাহতি ও শিক্ষিকা দুলারিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।’

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জানান, ‘এম এ মান্নান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি একটি স্কুলের শিক্ষিকার সাথে পরকীয়া করেন এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি থানা আওয়ামী লীগ গুরুত্ব সহকারে দেখছে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এম এ মান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।’

অভিযুক্ত এম এ মান্নান বলেন, ‘ছোট থেকে দুলারীকে আমি ভালোবাসি। অন্যরা যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে, তাহলে আমি করলে দোষের কী? আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার সাথে দুলারীর সম্পর্ক ছিল বিয়ের আগে। আমি সরকারি দলের লোক। পালিয়ে যাবো কেন? এমন অনেকে নেতাই দ্ধিতীয় বিয়ে করেছে। তারা তো পালিয়ে যায়নি। আমি কেন পালিয়ে যাব?

তবে শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।