‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরাও রাজপথে!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির দাবিমতে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এই আন্দোলনে রাজপথে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির আইনজীবীরাও। গত কয়েক মাস যাবত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আইনজীবীদের ঢাকা সহ স্থানীয় রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মতোই। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপির দাবির স্বপক্ষে আন্দোলনেও সরব রয়েছেন।

এসব আইনজীবীদের মধ্যে আবার কেউ কেউ সরাসরি বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কোন কোন আইনজীবী রাজপথে সরাসরি ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে করছেন। কেউ কেউ পুলিশের লাঠিচার্জ হামলা মামলার শিকারও হচ্ছেন। অনেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করছেন। তবে দিনকে দিন এইসব আন্দোলনে রাজপথে আইনজীবীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

একটি দেশের সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম হলো আইনজীবী সমাজ। নারায়ণগঞ্জে এসব আইনজীবীরাই সামনে থেকে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি নারায়ণগঞ্জে আদালতপাড়াতেই নয় তিনি নারায়ণগঞ্জের রাজপথে সরাসরি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এসব আন্দোলনে যারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাদের আইনি সহায়তা দিচ্ছেন তিনি সহ অন্যান্য আইনজীবীরাও।

তার সঙ্গে সামিল রয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনিও পুরোদস্তর বিএনপিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাহসিকতায় চরম ঝুকি নিয়ে।  সান নারায়ণগঞ্জকে নেতাকর্মীরা জানান ইতিমধ্যে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের নজির স্থাপন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। গত ২৯ জুলাই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে তারা দু’জন পুলিশি লাঠিচার্জে আহত হোন। সাখাওয়াত হোসেন খানকে আটক করা হয়।

এছাড়াও বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্থানীয় কর্মসূচিগুলোতে রাজপথে সরব দেখা যাচ্ছে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরকেও। তাদের সঙ্গে রাজপথে আছেন মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদও।

গত ২৯ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান। তিনি ঐদিন গ্রেপ্তার হলে পর দিন তাকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। আইনজীবী সমিতিতে একাধিকবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে রাজপথে বেশ সরব দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়াকেও। তিনি সম্প্রতি ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সামনে থেকে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই আব্দুল বারী ভূঁইয়া। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু গত ২৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থাতেও রাজপথ থেকে দমে যাননি আব্দুল বারী ভূঁইয়া। তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃত্বকে রাজপথে নিয়ে যাচ্ছেন।

রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে সবসময় সরব থাকেন ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট একেএম মাহমুদুল হক আলমগীর। ফতুল্লা থানা বিএনপির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুনকেও ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে সরব দেখা যাচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ওমর ফারুক নয়ন বরাবরের মতোই রাজপথের আন্দোলনগুলোতে সরব রয়েছেন। রাজপথে দেখা যাচ্ছে আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট মোঃ আলী হোসেনকেও। তাদের দুজনকেই ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে রাজপথে সরাসরি দেখা যাচ্ছে।

এদিকে রাজপথের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরব থাকছেন অ্যাডভোকেট সামসুন নূর বাঁধন। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের একাধিকবারে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালামের কন্যা। তিনিও ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে মাঝে মাঝে সরব থাকছেন। আদালতপাড়াতেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।

রাজপথের আন্দোলনে সরব ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শহীদ জিয়া আইনজীবী সংসদের আহ্বায়ক ও সদর থানা বিএনপি নেতা সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল কাদির সোহাগ। একইভাবে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন সরকার, আড়াইহাজার বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেনকেও ঢাকাসহ স্থানীয় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সরব দেখা যাচ্ছে।

এদিকে বিএনপির একটি সংগঠনের সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগর। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি। গত ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে তিনি মামলার আসামি হয়েছেন। রাজপথে সরব রয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম সুমন।

এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছেন তরুণ প্রজন্মের দুই আইনজীবী। সংগঠনটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু রায়হান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আশরাফুল বারী ভূঁইয়া চরম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এই সংগঠনটির ব্যানারে সামনে থেকে বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচিগুলোতে ঢাকা সহ স্থানীয় রাজপথের আন্দোলনে সরব থাকছেন।