বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মামুন সিরাজুল মজিদের শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি জামাত জোটের দেশবিরোধী চক্রান্ত ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজপথে শোডাউন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ। এ সময় তিনি বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কঠোর প্রতিবাদ জানান।

পরবর্তীতে অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মহানগর আওয়ামীলীগের আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন।

১৯ জুলাই বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি জামাত জোটের দেশবিরোধী চক্রান্ত ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামীলীগ।

এতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আজকের এই শান্তির সমাবেশে প্রমাণ করে মহানগর আওয়ামী লীগ আজকে তারা ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে রুপ ধারণ করেছে। অনেকেই বলছে আমাদের নেতৃত্ব চলে যাচ্ছে। নেতৃত্ব হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে আনোয়ার-খোকন তোমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাও আমি তোমাদেরকে আশীর্বাদ করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আশীর্বাদ নিয়ে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে সকল কর্মসূচি পালন করছি। তাহলে আমাদের ব্যর্থতা কোথায়। যতটুকু ব্যর্থতা আছে তা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীর আপনার আমাদের শক্তি আপনার ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

তিনি আরো বলেন, ওয়ান ইলেভেন এর সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরাই দলকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। সে সময় আমরাই কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তি ও সাহস যুগিয়ে ছিলাম। এরপরেই কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতাও উত্তীষ্ঠিত হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে বিশ্বাস করেছিলেন আমাদের কে বিশ্বাস করেছিল। তৃনমুল ঠিক আমরাও ঠিক। তৃণমূল যদি বিভ্রান্ত হয় তাহলে কিন্তু আমরাও বিভ্রান্ত হয়ে যাব। তাই আমি বলি আজকে ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের কোনো বিকল্প নাই।

তিনি বলেন, সংগঠন যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে আর নেতৃত্ব যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে বিএনপি কি বিএনপির মরাবাপও যদি নারায়ণগঞ্জে আসে কেউ কোন নৈরাজ্য, আগুন, সন্ত্রাস করতে পারবেন না। কারণ আওয়ামী লীগের জন্ম নারায়ণগঞ্জ। বিএনপি যদি নারায়ণগঞ্জ নৈরাজ্য করে আর আমরা যদি কিছু করতে না পারি তাহলে এর চেয়ে জঘন্য আর কি হতে পারে। তাই আসুন আমরা সবাই একসাথে মাঠে নামি। যারা নেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তাদেরকে প্রতিহত করি। নেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাপের নাম। আরে বিএনপির সন্ত্রাসী মস্তানরা তোদের কাছে আমার প্রশ্ন শামিলভাবে কথাবার্তা বলবে। আমাদের হাত যদি উঠে যায় তাহলে কিন্তু হাত আর নামানো যাবে না। কথাবার্তা শামিলভাবে রাখবা কথাবার্তা টেটবেট হলে আমরা কিন্তু ছাড়বো না। নারায়ণগঞ্জের মাটি এখনো কিন্তু শান্ত রয়েছে আমরা কিন্তু অশান্ত করি নাই। শেখ হাসিনা বলেছে আমাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে। যাতে করে বিএনপি কোন অশান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে। সেজন্য আমাদেরকে মাঠে থাকা নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ এর পরে আপনারা কি করেছেন। সারা নারায়ণগঞ্জ-এর সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অফিসের তালাবদ্ধ করে দিয়েছিলেন। আমরা ক্ষমতা এসে কোন আগুন সন্ত্রাসী কোন কার্যকলাপ করি নাই। পনেরো বছর যাবৎ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি আর আপনাদের আমলে মানুষ বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করত। বিএনপির আমলে হাওয়া ভবনের সৃষ্টি হয়েছিল। কোনো উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে উন্নয়নের উন্নয়ন মেট্রোরেল থেকে শুরু করে পদ্মা সেতু। আপনারা তো সবাই আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে লুটপাট করে আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে উন্নয়নের উন্নয়ন করে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে কেউ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে আমরা তাদেরকে ছাড়বো না। সমাবেশের নামে দেশের মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করবেন আমরা কিন্তু আপনাদেরকে ছাড়বো না।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, যেখানে বিএনপির অপরাজনীতি সেখানেই আমরা প্রতিরোধ করব। নারায়ণগঞ্জে আপনারা কেউ আমাদের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবেন না। বিএনপি যেখানেই জ্বালা-পোড়াও করবে সেখানেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

খোকন সাহা বলেন, ২০০১ সালের পর থেকে আমরা অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। এই নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছি। আওয়ামী লীগের অনেক অর্জন রয়েছে এই অর্জনকে আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। ওরা (জামাত বিএনপির) তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন ওরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আগুন সন্ত্রাস করছে। পবিত্র জাতীয় পতাকাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। বিএনপি জামাতকে বন্ধ করতে হবে অপরাধনীতি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগে গেছে তা আপনাদেরকে প্রচার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যারা হিরো আলমকে আঘাত করেছে তাদের বিচার করা হোক। হিরো আলমকে আঘাত করেছে ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের অন্যতম সদস্য ইমরান খান। আমার কাছেও দলের কাছের প্রমাণ রয়েছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে বিকেল তিনটা থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহার সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, রবিউল হোসেন, অ্যাডভোকেট হান্নান আহমেদ দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুর রহমান সোহেল, সদস্য শিখণ সরকার শিপন, সাখাওয়াত ইসলাম সুমন, এস এম পারভেজ, বদরুজ্জামান বদু, মনিরুজ্জামান মনির, শাহ্ জামাল খোকন, রমজান আলী, মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মহিলা লীগের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামীম আরা লাভলী, মহানগর আওয়ামী তাঁতীলীগের আহ্বায়ক শাহেদ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।