মন্তু-সজলের সামনেই যুবদল কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটালো শহিদুল বাহিনী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতৃত্ব নিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন। মুলত নেতৃত্ব প্রত্যাশা নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলকে সংগঠিত করে আসছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু। শেখ অপু যখন মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হোন তখন আরমান হোসেন ১০নং ওয়ার্ড যুবদলের শীর্ষ পদের জন্য ওয়ার্ডের সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। ওই সময় শহিদুলের রাজনীতিতে নামগন্ধও ছিলো না।

বছর খানিক সময় ধরে শহিদুলের যুবদলের রাজনীতিতে উদয় ঘটে। মুলত মন্তু ও সজলের আশ্রয়প্রশ্রয়ে শহিদুল ও আরমান। মন্তু ও সজলের ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকাতেও শহিদুল ও আরমান। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে আসছেন শেখ অপু। ফলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযাযী শেখ অপুকে যুবদলের রাজনীতি থেকে সরাতেই এবার শেখ অপুর নেতাকর্মীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে রাস্তায় ফেলে অমানসিকভাবে সন্ত্রাসী মাস্তানি স্টাইলে মারধর চালিয়েছে শহিদুল বাহিনীর লোকজন।

জানাগেছে, কেন্দ্রে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ১৭ জুলাই সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে মহানগরীর খানপুর এলাকা পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ শুরু করা হয়। চাষাড়া মেড়ে পৌছালে ওই কর্মসূচিতে সামনে দাঁড়ানো নিয়ে ‍যুবদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বেধে যায়। মুলত সিনিয়র পদের সাবেক নেতা হিসেবে শেখ মোহাম্মদ অপু সামনের সারিতে দাঁড়ালে শহিদুল ও তার লোকজন ধাক্কা দিয়ে সরাতে গেলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই সময় শেখ মোহাম্মদ অপুর আপন ছোট ভাই সাব্বির আহমেদ হৃদয় সহ ৫জন যুবদল কর্মীকে প্রকাশ্যে সড়কে ফেলে লাঠিপেটা ও লাথি মারতে থাকে শহিদুল বাহিনীর লোকজন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এর আগে ঢাকায় তারুণ্যে সমাবেশ সফল করার লক্ষে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাগরের নেতৃত্বে মহানগরীর খানপুর হাসপাতাল মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করে মহানগর যুবদল।

এ সময় লিফলেট বিতরণে প্রথম সারিতে দাঁড়ানো নিয়ে শেখ মোহাম্মদ অপুকে ধাক্কা দেয় মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তুর সমর্থক শহিদুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা। এতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হলে লিফলেট বিতরণে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। ওই সময় অপুকে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের লোক আখ্যায়িত করে শহিদুল ঘোষণা দেয়, ”এখানে গেসুর লোকজন চলবে না”। এ সময় অপু ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠলে কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের শান্ত করে পুনরায় লিফলেট বিতরণ শুরু করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

পরে মহানগর যুবদলের শহিদুল ও তার সমর্থকরা চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলের সামনে অবস্থান নেয়। এতে শেখ অপু ও তার সমর্থকরা সিদ্ধিরগঞ্জ ফেরার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় আকস্মিকভাবে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে শেখ অপু ও তার ছোট ভাই সাব্বির আহম্মেদ হৃদয়সহ ৫-৬ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়।

এ বিষয়ে শেখ অপু বলেন, আমাকে হত্যা করার জন্য ওরা হামলা চালিয়েছে। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাউদ্দিন মন্তুর সমর্থক শহিদুলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন এ হামলা চালায়। এতে আমাকে পেছন থেকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে শহিদুল। পরে আমাকে আমার সমর্থকরা সরিয়ে নিলেও আমার ছোট ভাইকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সে এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমাদের অনেক আহতদের সিদ্ধিরগঞ্জ ফেরার পথে কিল্লারপুলে পুনরায় হামলা চালিয়ে আবার আহত করেছে মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, প্রধান বক্তা যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি (ঢাকা বিভাগ) রেজাউল করিম পল, বিশেষ অতিথি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, সদস্য (সহ-সাধারণ সম্পাদক পদ মর্যাদা) দুলাল হোসেন, সিনিয়র সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সাইদুর রহমান সোহেল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, সাহেদ আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু সহ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানা এবং ওয়ার্ড ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।