সোনারগাঁয়ের আমজনতার মাঝে এমপি খোকা, জাতীয় পার্টির শক্ত অবস্থান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের প্রতিটা এলাকায় বিচরণ করছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁও উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করছেন। একই সঙ্গে বিগত ৯টি বছর এমপি খোকার উন্নয়নচিত্রও তুলে ধরছেন। এসব কর্মসূচিতে সোনারগাঁয়ের সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন এমপি খোকা। তার সহধর্মিনী ডালিয়া লিয়াকতের দিকনির্দেশনায় সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা পার্টিও শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। যার ফলে জাতীয় পার্টির প্রতিটা অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নারীদের অংশগ্রহণ দেখা যায়।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টি কেবল রাজনৈতিক কর্মকান্ডেই নয়, জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জনগণের মাঝে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে স্থানীয় জাতীয় পার্টি। যেখানে সরকারি দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ছিলো বিভিন্ন সেক্টর দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হানাহানিতে, সেখানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন জনগণের কল্যাণে। একই সঙ্গে এখানকার রাজনীতিতে জনকল্যাণমূলক কোনো কর্মকাণ্ডেই নেই স্থানীয় বিএনপি। বিএনপি এখন নিজেদের দল গোছাতে ব্যস্ত।  আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গ্রুপ উপ-গ্রুপ মিলিয়ে এক ত্রাহি অবস্থা। আওয়ামী লীগের বেশকজন নেতা এখানে এমপি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গ্রুপ উপ-গ্রুপ তৈরি করায় খন্ড খন্ড বিভক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় সাধারণ মানুষের দাবি- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসন। ২০১৪ সালে এই আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল হিসেবে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন লিয়াকত হোসেন খোকা।  তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন এবং স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন।  সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করে আসছেন। উন্নয়ন ছাড়া এই এমপির মাথায় ভিন্ন কোনো চিন্তাই নেই। স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও এমপির উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সহযোগীতা করে আসছেন।  টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি জমি দখল সন্ত্রাসী মারামারি হানাহানি সেক্টর নিয়ন্ত্রণের মত কোনো ঘটনার দ্বারে কাছেও জাতীয় পাটির নেতাকর্মীরা নেই।  এগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়মিত সরকারি দল আওয়ামীলীগের নেতাকমীদের মাঝে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি মামলা মোকদ্দমা চলছে।

উন্নয়নমুলক কমকান্ডে ভুমিকা রাখায় ২০১৮ সালের নির্বাচনেও পুণরায় এমপি নির্বাচিত হোন খোকা। সেই মোতাবেক দীর্ঘ ৯ বছর যাবত এমপি খোকা সোনারগাঁয়ের রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা ব্রীজ কালভার্টের উন্নয়ন করে আসছেন। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গেছেন। টংয়ের চায়ের দোকানে বসেও মানুষের সঙ্গে চা পানে দ্বিধাবোধ করেন না। পথ ঘাট হাট মাঠ ঘুরে ঘুরে হেটে হেটে মানুষের সুবিধা-অসুবিধা সমস্যার কথাগুলো শুনেন। যে কোনো মানুষ তাকে খুব সহজেই পেয়ে যান। মানুষের যে কোনো সমস্যাগুলো নিয়ে মানুষ এই এমপির কাছে আসতে পারেন। যে কারনে তাকে সবাই আমজনতার এমপি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এসব কারনে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের ঐক্যবদ্ধ না করেই উল্টো জাতীয় পার্টিকে দমাতে বারবার জাতীয় পার্টির উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের নিজেদের অবস্থা যখন নড়বড়ে তখন তারা অনৈক্য নিয়ে জাতীয় পার্টিকে দমাতে গিয়ে উল্টো জাতীয় পার্টির কাছে পেছনে পড়ে যাচ্ছে এখানকার আওয়ামী লীগ।

স্থানীয়রা আরো জানান, দীর্ঘ ৯ বছর যাবত এখানকার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুর মত কোনো ধরনের অপকর্মের অভিযোগ ওঠেনি। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই জানিয়েছেন স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা রয়েছেন জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। জাতীয় পার্টি যখন এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের মাঝে স্থান করে নিয়েছে, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা জাতীয় পার্টিকে চাপে রাখার জন্য চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু উল্টো হিতে বিপরীত হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় হেফাজতের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার মামলায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নাজেহাল করার চেষ্টা করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা আরো বেড়ে যায়। তাদের দাবি ওই ঘটনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কোনক্রমেই জড়িত ছিল না, যা দিনের মতো পরিষ্কার। শুধু রাজনৈতিক কারণে এখানে জাতীয় পার্টিকে দমানোর চেষ্টা হিসেবে মামুনুল হকের ওই ঘটনার দায়েরকৃত মামলায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের আসামি করে হয়রানি করা হয়। বিষয়টি সাধারণ মানুষ সহজভাবে মেনে নেয়নি। যে কারণে মানুষের সহানুভুতিতে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি আরো শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে।