সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। খোকনকে বিনা ভোটে নির্বাচিত করার জন্য সকল চেষ্টা করে আসছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। ১৪ জুন রূপগঞ্জ উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীতে সভা করে সেখানে খোকনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন দিপু ভুঁইয়া। নারায়ণগঞ্জ নগরীতে নাকি তাদের কর্মসূচি পালনে অসুবিধা হয়, সে কারনে খোকনকে পাশ করানোর জরুরী বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে দিপু ভুঁইয়ার অনুগামী নেতাকর্মীরা প্রচার করে যাচ্ছেন খোকনই হচ্ছে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। যেখানে একমাত্র দিপু ভুঁইয়ার কারিশমা। এও প্রচার করছে যে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নাকি দিপু ভুঁইয়া নিয়ে আসছেন। আবার কেউ কেউ প্রচার করছে লন্ডনে তারেক রহমান নাকি দিপু ভুঁইয়ার বাসভবনে বসবাস করেন। যে কারনে দিপু ভুঁইয়া যা চাইবেন তাই হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির মোড়ল হতে যাচ্ছেন দিপু ভুঁইয়া। এ ধরণের নানা গুঞ্জন গুজব প্রচার করে বেড়াচ্ছে এক শ্রেণীর লোকজন।
এছাড়াও দিপু ভুঁইয়ার লোকজন প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে, মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে সম্মেলনে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ গং। ফলে আগামী ১৭ জুন রাজীবকে পরাজিত করে খোকনকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করার মাধ্যমে উপরোক্ত নেতাদের পরাজয় ঘটবে। দিপু ভুঁইয়ার লোকজন প্রচার করছে- রাজীব হলো আজাদ ও কাজী মনির গংদের গুটি। ফলে রাজীবের পরাজয় নয়, দিপু ভুঁইয়া রাজনীতিতে আজাদ কাজী মনিরদের পরাজিত করতে মাঠে নেমেছেন।
এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন- যদি বিষয়টি সে রকমই হয় তাহলে আগামীতে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে নজরুল ইসলাম আজাদ, শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, অধ্যাপক মামুন মাহামুদদের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক থাকবেন দিপু ভুঁইয়া। ১৭ জুন রাজীবের সঙ্গে সঙ্গে এসব নেতাদের পরাজয় ঘটবে দিপু ভুঁইয়ার মিশনের কাছে। এখন দেখার বিষয় দিপু ভুঁইয়ার কাছে উপরোক্ত নেতাদের অবস্থান কি দাঁড়ায়?
