দিপু-সুমন জোট: রিজভীর মুক্তিতে আড়াইহাজারে বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তনের শঙ্কা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ১৬ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সাব্কে এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে যদিও মামুন মাহমুদকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রেখে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাইনিং পাওয়ার দেয়া হলেও কমিটিগুলো গিয়াস খোকনের একক স্বেচ্ছাচারীতায় গঠিত হচ্ছে। ফলে কমিটির বৈধতা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন। এরি মাঝে এসব কমিটির মাঝে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার অনুগামী লোকজনদের দিয়ে কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে।

নেতাকর্মীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দিপু ভুঁইয়ার পাশাপাশি জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের ভুমিকা রয়েছে। মুলত গিয়াসের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন, দিপু ভুঁইয়ার নারায়ণগঞ্জ-১ ও মাহামুদুর রহমান সুমনের জন্য নারায়ণগঞ্জ-২ আসন নিজেদের নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই তাদের তল্পিবাহকদের নিয়ে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনে ভুমিকা রাখেন। সেই লক্ষ্যে দিপু ভুঁইয়া ইতিমধ্যে তার একক লোকদের দিয়ে রূপগঞ্জের কমিটিগুলো নিজেদের কব্জায় নিয়েছেন। জেলা বিএনপির কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনও দিপু ভুঁইয়ার অনুগত কর্মী।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লা থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটি সহ সকল কমিটিগুলো একচেটিয়া গিয়াসের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তিনি। রাজপথের সক্রিয়তা বিবেচনায় নয়, তার অনুগতদের হাতে রাতের আধারে পকেট কমিটিগুলো তুলে দিয়েছেন গিয়াস। তবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সোনারগাঁও উপজেলা ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের আড়াইহাজার ‍উপজেলা বিএনপির কমিটিতে হাত বসাতে পারেনি জেলা বিএনপি। কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়ায় সেখানে হাত বসাতে পারছে না। মেয়াদ থাকা ছাড়াও দুটি আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের শক্তিশালী বাধা রয়েছে। কারন ওই দুটি উপজেলায় তাদের দুজনের নিয়ন্ত্রনে বিএনপি।

অন্যদিকে নেতাকর্মীরা জানান, এমতাবস্থাতেও আড়াইহাজারে নতুন কমিটি গঠনের জন্য জোরালো চেষ্টা চালাচ্ছেন মাহামদুর রহমান সুমন। দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় বিএনপির অতিরিক্ত মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কারাগারে বন্ধি থাকায় সেটা হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রিজভীর মুক্তির পরেই দিপু ভুঁইয়া ও সুমন আড়াইহাজারে নতুন কমিটি নিয়ে আসার জন্য রিজভীর কাছে ধর্না দিচ্ছেন। ফলে যে কোনো সময় আড়াইহাজারে উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি হতে পারে। যদিও আজাদ অনুগামী নেতাকর্মীরা বলছেন- আড়াইহাজারের কমিটি ভাঙ্গার কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। মাহামুদুর রহমান সুমন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছেন।