সোনারগাঁও থানার সাবেক ওসি, এসআই কারাগারে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাককে আলোচিত মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ১২ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উল্লেখিত দুইজন আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মো. আস সামস জগলুল হোসেন তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী আনিসুর রহমান আলমগীর জানান, সোনারগাঁও থানার তৎকালীন ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন, বাবুল ও আমাকে বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে অমানসিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন করে ক্ষান্ত না হয়ে তারা জাহিদুল ইসলাম স্বপনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তারা।

তিনি আরও বলেন, পরে জাহিদুল ইসলাম স্বপন আদালতে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। পরে এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওসি মোর্শেদ আলম ও সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

অপর মামলার বাদী সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন বলেন, সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক আমার উপর যে অমানষিক নিযার্তন চালিয়েছিল এখনও তা মনে হলে ভয়ে আতকে উঠি। বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায় বিচার আশা করি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আমরা ২০২০ সালে হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ অনুযায়ি একটি মামলা করি। মামলাটি দায়েরের পর আদালত জুডিসিয়াল তদন্তের জন্য পাঠান। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওসি মোর্শেদ আলম ও সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে আসামীরা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আসামীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে উভয় পক্ষের শুনানিয়ান্তে আদালত সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাককে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।