আড়াইহাজার উপজেলায় ১২টি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ১২জন নারী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় নারীদের জয় জয়কার। বিশেষ করে প্রশাসনে নারীদের প্রাধান্য সকলের নজর কাড়ে। আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা আফরোজ ইভা ও এসিল্যান্ড পান্না আক্তারসহ ১২টি বিভাগীয় কর্মকর্তার পদে আড়াইহাজারে নারীরা অধিষ্ঠিত। কর্মস্থলে তাদের দেখে সাধারণ মানুষ উৎসাহ পান।

পুরুষ প্রধান সমাজে গ্রামের মানুষ সবকিছুতেই পুরুষের প্রাধান্য কামনা করেন। নারীদেরকে সচরাচর প্রাধান্য দিতে গড়িমসি করে গ্রামের মানুষ। এমন মানুষদের জন্য আড়াইহাজার উপজেলা একটা দৃষ্টান্ত স্বরূপ। উপজেলা প্রশাসনের ১২টি বিভাগীয় পদে নারীরা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আড়াইহাজারের সুধীমহলের অনেকে বলেন, আমাদের দেশের নারীরা অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে। আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ দিবসে নারীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিজেদের মেধা-মনন তুলে ধরেন। আজকে আড়াইহাজার উপজেলার নারী সমাজ প্রগতির পথে হাটছে। কমেছে বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন। বেড়েছে নারীদের উচ্চশিক্ষার হার।

ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই স্মার্ট যুগে গ্রামের নারী সমাজ শিক্ষা-দীক্ষা ও বিদ্যা বুদ্ধিতে এগিয়ে চলেছে। অনলাইন বিজনেসে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। হাতের তৈরী জিনিস অনলাইনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে তুলে ধরছেন। নারীরা এগিয়ে চলছে। যুগে যুগে বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে নারীরা আজ আলোর পথে এসেছে। সমাজের যোগ্য স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েই নারীর প্রগতির পথে অগ্রসরমান। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাষায় , কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে , বিজয় লক্ষী নারী। আজকের নারীরা অবহেলিত নয় বরং সুউচ্ছ আসনে অধিষ্ঠিত হচ্ছে আপন আপন কর্মক্ষেত্রে। আড়াইহাজারে ১২ বিভাগীয় প্রধানের নেতৃত্বে নারী। পুরুষের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী ৮ মার্চ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস। দিবসটি সামনে রেখে তাদের নিয়ে আমাদের আড়াইহাজারের বিশেষ আয়োজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

ডা: সায়মা আফরোজ ইভা : তিনি নরসিংদীতে মুসলিম ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তার বাবা হলেন মরহুম অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নরসিংদী আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। মা নরসিংদী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভানেত্রী। আড়াইহাজারের স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী ডা. ইভা জহিরুল হক মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন ২০১০ সালে। অদ্যবধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যের মধ্যে বড় হয়েও বেছে নিয়েছেন মানবসেবার পেশা। মেধাবী ও পরিশ্রমী এই মানুষটির জীবনযাপন অত্যন্ত সাদামাঠা। সকলকে আপন করে নেয়ার এক সম্মোহনী শক্তি বিধাতা তাকে দিয়েছেন। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে থেকেও নেই কোন অহমিকা দাম্ভিকতা, বরং সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন।

ইতোমধ্যেই তার দায়িত্বের ৩ বছর অতিক্রম হয়েছে। দায়িত্বের পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমূল পরিবর্তন এনেছেন। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি দায়িত্বের প্রতি চিকিৎসকবৃন্দ হয়েছেন সচেতন। হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে এনেছেন গতিশীলতা। ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবায় হাসপাতালটি এগিয়েছে একাধাপ। টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্য সেবা ২৪ ঘন্টা খোলা এখন। এসবের পিছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। জরুরী বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা। এএনসি পিএনসি সেবা কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য একটি হটলিংক নাম্বার চালু, বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারি সহ সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সবকিছু মিলে হাজারো সীমাবদ্ধতার মাঝে ও সর্বোচ্চ সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা আফরোজ । বিশেষ করে করোনা প্রাদূর্ভাব মোকাবেলায় তার কাজগুলো উপজেলাবাসীকে আরও মুগ্ধ করেছে। করোনা থেকে উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে তিনি সকল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এসিল্যান্ড পান্না আক্তার

এসিল্যান্ড পান্না আক্তার। যিনি তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে জনবান্ধব ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে চান। এই উপজেলায় যোগদান করেই আইনের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ ভূমিসেবা নিশ্চিত করার পথে হাঁটছেন নবাগত এসিল্যান্ড পান্না আক্তার। ৩ আগস্ট তিনি আড়াইহাজার উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। প্রথম দিনেই রামচন্দ্রদী আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এসিল্যান্ডের প্রথম দিনের পারফরমেন্স প্রশাসন ও সুধীমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।

জানাগেছে, নবাগত এসিল্যান্ড পান্না আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুরে। তাঁর পিতা মোঃ চান মাহামুদ মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পেশায় প্রধান শিক্ষক। নিজ জেলাতেই পড়াশোনা। ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১০ সালে এইচএসসি। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ৩৬ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। প্রথম থেকেই তিনি সাফল্যের পথে হাঁটছেন।

প্রথম কর্মজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম জেলা থেকে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের অফিসে এক বছর কাজ করেন। সেখান থেকে সিরাজগঞ্জ ডিসি অফিসে কাজ করেন। এরপর চলে আসেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে। কমিশনারের অফিসে কাজ করার পর গত ৩ আগস্ট প্রথম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায়। এখানে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই মাঠে নেমে সবাইকে চমকে দিলেন এসিল্যান্ড পান্না আক্তার। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। স্বামী মো: রহমতউল্লাহ ৩৫ তম ব্যাচের বিসিএস ক্যাডার। তিনি ঢাকা ডিসি অফিসে কর্মরত।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা

মাহমুদা আকতার: সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, আড়াইহাজার উপজেলায় অত্যান্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার সুন্দর আচারণ উপজেলাবাসীকে মুগ্ধ করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সালের মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছোট। ২০০২ সালে তিনি বাউশিয়া এম এ আজহার উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পাস করেন এবং ২০০৪ সালে গজারিয়া কলিমুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন এবং সফলভাবে ২০১০ সালে বি.এস.সি ইন (ফিশারিজ) অনার্স ও এম.এস.সি ইন (ফিশারেজ ম্যানেজমেন্ট) সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১১ সালে পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ব্যাংকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে তিনি থেমে থাকেননি। তার অদম্য ইচ্ছা ও চেষ্টার ফলে ২০১২ সালে ৩০ তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি বিসিএস মৎস্য ক্যাডারে যোগদান করেন।

প্রত্যেক ব্যক্তির সফলতার পেছনে কোন না কোন মানুষ থাকেন, কোন সফল মানুষের প্রতিচ্ছবি থাকে, ঠিক তেমনি মাহমুদা আকতারের সফলতার পেছনে তার মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের মা। ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই তিনি সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার:

রাফেজা খাতুন: আড়াইহাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন। তিনি সিআরপি সাভার উপজেলার উত্তর চাপাইন গ্রামে ৫ ফ্রেবুয়ারি ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কাটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেন। এরপর সম্ভুষপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি সাভার কলেজ থেকে এইচ এসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করেন। সবশেষ তিনি ২০০৩ সালে ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি বিএড ও এমএড ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্মজীবন শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি প্রথমে হয়রত আহসান উল্লাহ সরকারী বিদ্যালয় সাভারে যোগদান করেন। এইখানে তিনি ৩ বছর শিক্ষকতা করেন। পরে ২০০৬ সালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি সুনামের সাথে বিভিন্ন উপজেলায় কাজ করেন। সবশেষ তিনি ২০১৬ সালে আড়াইহাজারে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে আড়াইহাজার উপজেলায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আছেন।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা:

নাহিদা নাছরিন শিমুল : গত দুই বছর যাবত আড়াইহাজার উপজলোয় সমবায় র্কমর্কতা হিসেবে র্কমরত আছেন। তাহার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায়। পিতা একেএম.নুরুন নবী এবং মাতা হাছিনা বেগমের পাঁচ সন্তানরে মধ্যে তিনি মেঝ। ১৯৯৬সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ব হন এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বর্তমানে স্বামী আবুল কাশেমের সাথে সংসার জীবন অতিবাহিত করছেন। মেয়ে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সিতে জিপিএ ৫ পেয়ে ভার্সিটিতে অধ্যয়ন করেছেন এবং ছেলে এইচ.এস.সিতে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি ফেনী সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী, বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজ থেকে এইচ. এস. সি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে স্নাতক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর পাস করেন। তিনি ৬জুলাই, ২০০০ সালে সমবায় বিভাগ চট্টগ্রামে যোগদান করে র্কমজীবনের সূচনা করেন। তার পিতা কুমিল্লা জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে ১৯৯৫ সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। তিনি আড়াইহাজার উপজেলায় অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুবই মিশুক এবং আন্তরিক।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা:

রেজুয়ানা হক: আড়াইহাজার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে অত্যান্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ৮ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রেজাউল হক, মাতার নাম মোসাম্মৎ সুফিয়া খাতুন। উথলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। এর পর উথলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তী তিনি আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজ চুয়াডাঙ্গা থেকে এইচ এসসি পাশ করেন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে গনিত বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পড়ালেখা শেষে তিনি বিভিন্ন বেসরকারী স্কুলে চাকুরী করেন। কিছু দিন রমনা রেলওয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

সবশেষ তিনি ৩ জুন ২০১৮ সালে আড়াইহাজার উপজেলায় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সুনামের সাথে উক্ত উপজেলায় কর্মরত আছেন। তার নেতৃত্বে উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিস নিজস্ব জায়গায় করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ২০১৭ সালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সোমিদুল ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী সোমিদুল ইসলাম ফকির ফ্যাশনের সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা

শারমিন সুলতানা: উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা, প্রজীপ বি আরডিবি আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার অর্ন্তগত কাশিয়ানী উপজেলার বরইহাট গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান মোল্লা ও মাতার নাম ফরিদা বেগম। তিনি গোপালগঞ্জ বিনাপানি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯১ সালে , এসএসসি, ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা কলেজ হতে এইচএসসি এবং বিএ অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে। ৩১ অক্টোবর ২০০২ সালে তিনি বি আরডিবিতে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে চট্রগ্রামের মীরেরশরাই উপজেলায় প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এর পর তিনি বিভিন্ন উপজেলায় সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। ফ্রেবুয়ারীর ১তারিখে তিনি আড়াইহাজারে যোগদান করেন। তিনি তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে অত্যান্ত সুনামের সাথে কাজ করছেন নাজমা আক্তার। তিনি এর আগে সোনারগাঁও উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ ও বর্তমান কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তিনি দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কাজ চাকুরী করেছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা:

সুলতানা এলিন: আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে কর্মরত আছেন। তার নেতৃত্বে গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ১৬ জুলাই ১৯৮০ সালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এনামুল হক ভুইয়া, মাতা ফিরোজা বেগম, স্বামী মো: শাহজালাল মিয়া। তিনি ১৯৯৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে রামপাল এনবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮০৪ মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৭ সালে রামপাল মাহা বিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৯৯ সালে সরকারী হরগঙ্গা কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। ২০০১ সালে রাস্ট বিঞ্জান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তেজঁগাও কলেজ থেকে। তিনি নারায়ণঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে শ্রীপুর এবং সবশেষ তিনি আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগদান করেন।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর

নাজনীন শিরিন সুলতানা: উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর হিসেবে সুনামের সহিত আড়াইহাজারে কর্মরত আছেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তার পিতার নাম মো: আব্দুল হালিম। তিনি পেশায় শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রথম চাকুরীতে যোগদান করেন। এর পর অত্যান্ত সুনামের সাথে রুপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার জন্য সকলের নিকট দোয়া চান।

তথ্যসেবা কর্মকর্তা:

তাছলিমা আক্তারঃ বর্তমানে অত্যন্ত সততা,দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার সাথে কাজ করছেন তথ্যসেবা কর্মকর্তা হিসেবে তথ্যকেন্দ্র,তথ্যআপা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার ব্রাহ্মনখালী গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মৃত অলি প্রধান এবং মাতা লতিফা বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার ছোট এবং আদরের। ছোট কাল থেকেই তিনি প্রাণচঞ্চল,বাধ্যগত এবং আন্তরিক। পছন্দ করেন গল্প,আড্ডা, ঘুরাঘুরি এবং অন্যের বিপদে এগিয়ে যাওয়া মানুষের পাশে থাকা।

তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ব্রাহ্মনখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশুনা করেন জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবং একই শাখায় উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন সলিমউদ্দিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে। বি.বি.এস (অনার্স) এবং এম.বি.এস(মাস্টার্স) শেষ করেন ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে। শুধু পড়াশোনায় নয় খেলাধুলায়ও ছিলেন পারদর্শী। গত দুই বছর যাবত নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আড়াইহাজার উপজেলায় নিয়োজিত আছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশ অর্থাৎ উন্নত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে গ্রামীণ অসহায়,দরিদ্র,সুবিধা বঞ্চিত বা কম সুবিধা প্রাপ্ত নারীদের তথ্য ও সহযোগিতা প্রদানের জন্যে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন আমাদের সকলের প্রিয় তথ্যআপা তথ্যসেবা কর্মকর্তা।

উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা

বেগম সামছুন্নাহার আকন্দ। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। সামছুন্নাহার আকন্দ সদ্য যোগদান করেছেন আড়াইহাজারে। তার পিতা জাফর আলী আকন্দ। বেগম সামছুন্নাহার এর পিত্রালয় বাড়ি পাকুন্দিয়া। তার শশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদিতে। তিনি বিগত ২৫ বছর ধরে সরকারী চাকুরী করছেন। তিনি সকলের নিকট দোয়া চান।