রবি নাজেহাল: বিএনপির সিন্ডিকেট ভিত্তিক রাজনীতিতে দশ নেতায় দুই গ্রুপ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতি এখন সিন্ডিকেট ভিত্তিক। দুটি সিন্ডিকেটে বিভক্ত হয়ে রাজনীতি চলছে এখানে। গত ১৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর সেই সিন্ডিকেট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এদিকে গত শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতেও বিষয়টি আবারো স্পষ্ট হয়, যেখানে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে নাজেহাল করা হয়েছে তার পাঞ্জাবী ছিড়ে। দুটি সিন্ডিকেটের মধ্যে দুদিকের মুখ্য ভুমিকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও অপরজন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া।

তবে গত শনিবার মনিরুল ইসলাম রবির পাঞ্জাবী ছিড়ে তাকে নাজেহাল করা ও রবি মামুনের অনুগামীদের মারধরের মাধ্যতে ভিন্ন বার্তায় বয়ে আনছে। যেখানে কয়েক মাস পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা এবং তৎকালীন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহামুদকে দূর্বত্তদের হামলার ঘটনা সামনে চলে আসছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে যারা হামলা চালিয়েছিলেন বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতৃত্বে তাদেরকেই রাখা হয়েছে। ফলে পুরষ্কৃত হলো হামলাকারীরা। শনিবারের কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীনের অনুপুস্থিতিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহামুদের সভাপতিত্ব নিয়ে আপত্তি জানায় দিপু ভুঁইয়া সিন্ডিকেট।

জেলা বিএনপির বিগত কমিটির আমলে আড়াইহাজারে বেকায়দায় ছিলেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক ছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান রাজনীতিতে মাঠে না থাকলেও রূপগঞ্জের বিএনপির নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনিই। দিপু ভুঁইয়া ছিলেন পিছিয়ে। একইভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি শাহআলমও মাঠের রাজনীতিতে না থাকলেও তার অনুগামীদের নিয়ন্ত্রনেই ছিলো ফতুল্লা থানা বিএনপি।

গত শনিবারের কর্মসূচিতে সকল নেতাদের একসাথে রাজপথে দেখা গেলেও দুটি পক্ষ স্পষ্ট ছিলো। যদিও এর আগের কর্মসূচিগুলোতে তারা পৃথকভাবে পালন করেছেন। মুলত কেন্দ্রীয় নেতা ড. মঈন খানের উপস্থিতির কারনে একসাথে তার সেদিন রাজপথে নামেন। ব্যানারে দাঁড়ানো নিয়েও দুই সিন্ডিকেটের নেতাদের মাঝে ঠেলাঠেলি ছিলো চোখে পরার মতই। যেখানে পাঞ্জাবী ছিড়লো মনিরুল ইসলাম রবির। তার ও মামুনের অনুগামীদের অনেকেই নাজেহাল হয়েছেন সেদিন।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজীমনিরুজ্জামান মনির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহামুদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল মুলত নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে। অপরদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহামুদুর রহমান সুমন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন রয়েছেন দিপু ভুঁইয়া বলয়ে। ইতিমধ্যে বর্তমান কমিটির নেতারা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি গিয়াসের জন্য ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনটি দিপু ভুঁইয়ার অবস্থান তৈরি করতে আগের কমিটির নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন।