লঞ্চে লেংটার মেলায় যাওয়ার ছলে বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে রাজীব গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলায় রাজিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।

তিনি জানান, ভিকটিম হযরত আলী (২০) তার বন্ধু মোঃ জুবায়েত ইসলাম (১৯), মোঃ রিফাত (১৮), মোঃ কালা (২২), রাজিব (১৯), জামাল উদ্দিন (১৯) এর সাথে গত ৫ ডিসেম্বর তারিখে সকাল অনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় তার ভাড়াবাসা থেকে নারায়ণগঞ্জ আরটিভি লঞ্চ ঘাটে গিয়ে এমএল হাসিভ নামক লঞ্চে চড়ে বেলা অনুমানিক ১২টার সময় চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন লেংটার মেলায় ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদী বরাবর লঞ্চটি আসিলে ভিকটিম লঞ্চটির পিছনে গিয়া টয়লেট করার জন্য নদী হতে বালতি দিয়া পানি উঠানোর সময় অসর্তকতা অবস্থায় লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যায় মর্মে পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও তার বন্ধুরা জানায়।

পরবর্তীতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ গজারিয়া কোষ্টগার্ড, গজারিয়া ও কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায় গত ৮ ডিসেম্বর তারিখ বেলা অনুমানিক সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ চর হোগলা মেঘনা নদীর কিনারে কচুরিপানার ভিতরে একটি মৃত দেহ পড়ে আছে মর্মে ভিকটিমের বাবা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি দেখে তার ছেলে হযরত আলীর লাশ মর্মে সনাক্ত করেন।

পরবর্তীতে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের রির্পোট প্রাপ্তির পর জানা যায় ভিকটিম অসর্তকতা বসত নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়নি। ভিকটিমের উপরোল্লেখিত বন্ধুরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে দেয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ মরতুজ মিয়া (৬২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোনারগাঁ থানার মামলা নং-৩৬ তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও মিডিয়ায় নানাবিধ খবর প্রচার ও লেখালেখি হয়।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১, সদর কোম্পানি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে নৃশংস এই হত্যার সাথে জড়িত পলাতক আসামী মোঃ রাজীবকে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত পৌণে ১২টার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর কবরস্থান এর সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।