অনুকুল ঠাকুর ইশ্বরের বন্দনাতেই মানব জাতিকে আবদ্ধ করতে চেয়েছেন: সিমু 

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা সৎসংঘের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতি বৎসরের ন্যায় ভূঁইয়ারবাগবাসীর উদ্যোগে শ্রীশ্রী গৌরনিতাই জিউর মন্দিরে যুগ পুরুষোত্তম পরম প্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুরের দিব্যজীবন ও বানীর আলোকে মহতী ধর্মানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উক্ত মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে সকল ইষ্টপ্রাণ দাদা ও মায়েরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেন। ভাবগাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্যে বিশেষ প্রার্থনা পরিচালিত হয়। 

বিপ্লব ঘোষের সঞ্চালনায় অনুবাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাবু রিপন ভাওয়াল, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত থেকে আগত ধর্মযাজক তপন চক্রবর্তী।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্বজিৎ সাহা,বাদল সাহা, চিত্তরঞ্জন সাহা প্রমুখ। এ সময় আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম সহ হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজহিতৈষী হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র বলতেন, ভগবান সবার কাছে সমান। আমরা ভগবানকে ততখানি পাই যতখানি ভক্তি অনুরাগে তার দিকে অগ্রসর হই। আলোর কাছে যত যাব তত আলো অনুভব করব ও তাপ পাব।

হাসিনা রহমান সিমু আরো বলেন, পরম প্রেমময় অনুকুল চন্দ্র ঠাকুর জীবনের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে মানুষকে ইশ্বরের পথ বাতলেছেন। তিনি সকলকে বুঝাতেন ভগবানের সাথে আমাদের সম্পর্ক কতটুকু। অনুকুল ঠাকুর মানুষকে পরমাত্মার প্রেমে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেন, অনুকুল ঠাকুর ইশ্বরের বন্দনাতেই মানব জাতিকে আবদ্ধ করতে চেয়েছেন। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এমনি পরম ভক্ত ছিলেন যে, তার সারা জীবনের সকল কর্ম, বলা, চলা সকল কিছুইকেই ভগবানের কৃপা বলে মনে করতেন। তিনি মানুষকে ভালবাসার রাস্তা দেখিয়েছেন। তিনি ব্রহ্মকে সঠিক অর্থেই উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৎসঙ্গ।

হাসিনা রহমান সিমু সবাইকে আহবান জানান, মনের বিশ্বাসে প্রেমময় ঠাকুরের অনুসরণ করুন তাহলেই আপনি পাবেন জাগতিক সুখ।

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের ভক্তবৃন্দ ছাড়াও এই মহতি অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- আনন্দধাম সনাতনের সভাপতি শ্যামল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা, আনন্দধামের পরিচালকবৃন্দের মধ্যে মতিউর রহমান মুক্তি, নারায়ণ চন্দ্র দাস, গবিন্দ, গৌতম, রতন সাহা, হরি চরন সাহা, খোকন মিয়া প্রমুখ।