শেখ ফজলুল হক মনির জন্মবার্ষিকীতে ফতুল্লায় যুবলীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ফতুল্লা থানা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং কেক কেটে দিনটি পালন করা হয়েছে। এসময় শেখ ফজলুল হক মনি’র আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ ভাবে দোয়া করা হয়।

৪ ডিসেম্বর রবিবার রাতে ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর খিলমার্কেটস্থ ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের বাসভবনের সামনে জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এদিকে অনুষ্ঠানটি সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুব সংগঠক নাজমুল হাসান সাজন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক খোকা, কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম দেওয়ান, ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি, ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, যুবলীগ নেতা, রুহুল আমিন, চুন্নু মোল্লা, দর্পন, মুন্না আহম্মেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজন বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালির মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবসমাজকে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ ফজলুল হক মনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চার মূলনীতি গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম-নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বাস্তবায়ন, সেই সাথে সমাজের সংস্কারের ও টেকসই উন্নয়ন, যুবসমাজের সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ও তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণ, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে যুব ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

বিশাল যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান গেরিলা বাহিনী বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স-বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) প্রধান কমান্ডার ও তুখোড় সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির উপর। বঙ্গবন্ধুর বড় বোন শেখ আছিয়া বেগম ও ভগ্নিপতি শেখ নূরুল হক এর বড় ছেলে শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন।

তিনি ঢাকার নব কুমার ইনিস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন আইন বিষয়ের উপর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।